নয়াদিল্লি: আড়াই টাকা নয়, এখন থেকে এক টাকাতেই পাওয়া যাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন। আগামী ২৭ অগাস্ট থেকেই দেশের সব জন ঔষধি স্টোরগুলোতে পরিবেশবান্ধব স্যানিটারি ন্যাপকিন ‘সুবিধা’ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (সার ও রসায়ন মন্ত্রক) মনসুখ মনদবিয়া। পিটিআই-কে তিনি জানিয়েছেন, “আগামীকাল থেকেই আমরা মাত্র ১ টাকায় পরিবেশবান্ধব স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করব। 'সুবিধা' নামে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন দেশের প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি জন ঔষধি স্টোরে পাওয়া যাবে।”
উল্লেখ্য, এখন সরকারি স্টোরগুলোতে যে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যায়, তার প্রতিটির দাম আড়াই টাকা। সেই হিসেবে চারটি ন্যাপকিন সমৃদ্ধ একটি প্যাকেটের দাম ১০ টাকা। মঙ্গলবার থেকে এই একই স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যাবে ৪ টাকায়।
মন্ত্রী মনসুখ জানিয়েছেন, ৬০ শতাংশ দাম কমিয়ে মোদী সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইস্তাহারে স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তিনি আরও জানান, দাম কমলেও স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রস্তুতকারকরা আগের খরচ অনুযায়ীই স্যানিটারি ন্যাপকিন বানাবে। সরকার এই পণ্যের জন্য ভর্তুকি দেবে।
বছরে কত কোটি টাকা ভর্তুকির কথা ভাবছে সরকার? উত্তরে মন্ত্রী জানান, “চাহিদার ওপরই ভর্তুকি নির্ভর করছে। বিগত বছরে জন ঔষধি স্টোর থেকে ২ কোটির ওপরে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি হয়েছে। দাম কমার ফলে এই বিক্রি দ্বিগুণ হবে। আমরা এখন গুণগতমান ও ক্রয়ক্ষমতার ওপর বাড়তি নজর দিচ্ছি। পণ্যটি যেন সহজলভ্য হয়, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে।”
দেশে একটি স্যানিটারি ন্যাপকিনের বাজার মূল্য ৬ থেকে ৮ টাকা। সেখানে ১ টাকায় তা পাওয়া গেলে মহিলাদের ক্ষমতায়নের সহায়ক হবে, মত মন্ত্রী মনসুখ মনদবিয়ার। কোনও ভাবেই যেন এই পরিষেবা ব্যহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার।
জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সার্ভে (২০১৫-২০১৬) অনুযায়ী দেশের ৫৮ শতাংশ নারী, যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৪, তারা ঋতুচক্রের সময় তুলার পট্টি ব্যবহার করে। আর স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলেও তার গুণগত মান অতীব সাধারণ। এই পদক্ষেপ পরিস্থিতির বদল করবে বলেই মত কেন্দ্রের।