পটনা: যুবকের রহস্যমৃত্যু (youth death) ও তার পর অশান্তির আগুন (houses set afire) যার জেরে অন্তত ১২টি বাড়ি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বিহারের সারণ (bihar saran) জেলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আপাতত ১৪৪ ধারা (CRPC 144) জারি করেছে রাজ্য পুলিশ। ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ-সহ ২৩টি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা (social networking sites banned) জারি করা হয়েছে যা বলবৎ থাকবে ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা পর্যন্ত। আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতেই কড়া পদক্ষেপ রাজ্য প্রশাসনের। কিন্তু এক যুবকের মৃত্য়ু ঘিরে হঠাৎ কেন এমন তেতে উঠল এলাকা? কী-ই বা এমন ঘটল যাতে ১৪৪ ধারা জারি করতে হল? উত্তর পুরোটা স্পষ্ট নয়। সারণ জেলার মুবারকপুরের থমথমে অলিগলি অবশ্য অনেক কিছুই বলে দিচ্ছে।
কী ঘটেছিল?
মৃতের নাম অমিতেশ কুমার। অভিযোগ, অমিতেশ ও তাঁর দুই বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করেন বিজয় যাদব নামে এক ব্যক্তি যিনি কিনা গ্রামের মোড়লের স্বামী। হঠাৎ কেন তিনি চড়াও হতে গেলেন অমিতেশদের উপর? প্রাথমিক ভাবে যেটা উঠে এসেছে, তাতে জানা যাচ্ছে বিজয়ের ধারণা হয়েছিল অমিতেশরা তাঁর উপর গুলি চালিয়েছিলেন। বদলা নিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি পাল্টা হামলা চালান তাঁরা, অভিযোগ এমনই। বাকি দুজন পটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়লেও অমিতেশের মৃত্যু হয়। আর তার পর থেকেই তীব্র উত্তাপ বিহারের সারণের বড় অংশে।
রণক্ষেত্র...
অভিযোগ, যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর পরিজনেরা বিজয়ের সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি তেতে ওঠে। আগুন নেভাতে ছুটে আসে দমকল। সারণের এসপি, গৌরব মঙ্গল, এই মুহূর্তে মুবারকপুর গ্রামেই রয়েছেন। পরিস্থিতি পরিদর্শনে যেতে হয় তাঁকে। তবে যে ভাবে উত্তেজনা ছড়াচ্ছিল, তাতে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। মাঞ্জি ব্লকে যে কোনও ধরনের বড় জমায়েত আটকাতে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়। ১৮৮৫ সালের আইটি অ্যাক্ট ব্যবহার করে সমস্ত ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারকে কনটেন্ট সরবরাহ নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৩টি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এই মুহূর্তে নিষ্ক্রিয় ওই এলাকায়। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সমাজবিরোধীরা গুজব ও অসন্তোষের আগুন ছড়াতে পারে। সবটা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ। গোটা ঘটনায় এফআইআরও করা হয়েছে। এসপি জানিয়েছেন, এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
কিন্তু যে ভাবে এক রহস্যমৃত্যু ঘিরে গোটা এলাকা তেতে উঠেছে ও প্রশাসনকে তা মোকাবিলায় যতটা কড়া পদক্ষেপ করতে হয়েছে, তা দেখে বিস্মিত অনেকেই।
আরও পড়ুন:নজরে নৌশাদের আর্থিক লেনদেন, ভোটের প্রাক্কালে ব্যবসায়ীর সঙ্গে চ্যাট, দাবি কলকাতা পুলিশের