নয়াদিল্লি: শাস্তিস্বরূপ দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্রকাশ্যে চাবুক মারা সম্ভবত বন্ধ করতে চলেছে সৌদি আরব। সে দেশের শীর্ষ আদালত থেকে এই তথ্য মিলেছে।
চাবুক মারার বদলে সম্ভবত শাস্তি হতে চলেছে কারাদণ্ড অথবা জরিমানা, বা দুটোই এক সঙ্গে। সরকারিভাবে কিছু এখনও না জানালেও এ মাসেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল কমিশন। আদালত থেকে প্রাপ্ত নথিতে বলা হয়েছে, রাজা সলমন ও যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন যে মানবাধিকার সংক্রান্ত সংস্কার এনেছেন, তারই অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ।
নির্দিষ্ট কোনও আইন না থাকলেও ইসলামিক আইন বা শরিয়ার অংশ হিসেবে চাবুক মারা সৌদিতে শাস্তিদানের প্রচলিত পদ্ধতি। বিভিন্ন বিচারক তাঁদের বিচারমত ধর্মীয় গ্রন্থের শাস্তিপ্রক্রিয়া উদ্ধৃত করে অপরাধীদের শাস্তিদানের ব্যবস্থা করেন। কাউকে উত্যক্ত করা বা রাস্তায় নেশা করার মত নগণ্য অপরাধেও যেভাবে প্রকাশ্যে চাবুক মারা হয় তার বিরুদ্ধে বহুবার প্রতিবাদ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। সৌদির মানবাধিকার কমিশনের প্রেসিডেন্ট আওয়াদ আলাওয়াদ মন্তব্য করেছেন, সে দেশের মানবাধিকার রক্ষা ক্ষেত্রে চাবুক মারা বন্ধ করা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সৌদি আরবে এখনও যে সব মধ্যযুগীয় প্রথা প্রচলিত রয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে চুরির শাস্তিতে হাত কেটে নেওয়া, খুন বা সন্ত্রাসবাদে মাথা কেটে ফেলা। এগুলি এখনও বেআইনি ঘোষিত হয়নি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর মধ্য প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যাডাম কুগল বলেছেন, চাবুক মারা বন্ধ হলে তা স্বাগত জানানো হবে কিন্তু এই পরিবর্তন দীর্ঘদিন আগে হওয়া উচিত ছিল।
সৌদিতে শেষ হচ্ছে চাবুক মারা?
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
25 Apr 2020 04:11 PM (IST)
সৌদি আরবে এখনও যে সব মধ্যযুগীয় প্রথা প্রচলিত রয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে চুরির শাস্তিতে হাত কেটে নেওয়া, খুন বা সন্ত্রাসবাদে মাথা কেটে ফেলা। এগুলি এখনও বেআইনি ঘোষিত হয়নি।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -