কলকাতা : ভোটের আগে রাজ্য-রাজনীতিতে এক দফা দল বদলের হিড়িক দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর আবার এই ইস্যুতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। শুক্রবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে 'ঘর ওয়াপসি' হয়েছে মুকুল রায়ের। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিককে এবার দলে স্বাগত জানালেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।


তিনি বলেন, "আমাদের নেত্রী যেটা ঠিক মনে করবেন সেটাই সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর সিদ্ধান্তে আমার সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমাদের দল আগেই শক্তিশালী ছিল। মুকুলবাবু বর্ষীয়ান নেতা, ওঁকে দলে সসম্মানে স্বাগত জানাই। "


ভোটের আগে যেভাবে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, সেই একইভাবে অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। মুকুল রায় ও শুভ্রাংশ রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর এই জল্পনা আরও উস্কে গিয়েছে। তবে এনিয়ে তৃণমূল-বিজেপি উভয়পক্ষের নেতা-নেত্রীদের তরফে বিভিন্ন রকম মন্তব্যে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।


এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছেন, অনেকেই দলে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
 
তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ভোটের সময় যাঁরা পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন, তাঁদের দলে ফেরানো হবে না।


এদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুণাল ঘোষের বাড়ি যাওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। রাতের বেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আমাদের ছেলেকে গ্রেফতার করিয়েছিল সে। কুণালের কাছে যাওয়া মানেই গঙ্গা জলে পরিশুদ্ধ হয়ে যাওয়া নয়। "


অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফেসবুকের মাধ্যমে দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দল ছাড়াটা এখন অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যাঁরা দলকে রক্ত-ঘাম দিয়ে দাঁড় করিয়েছেন, বিজেপি তাঁদের উপর নির্ভরশীল। বিজেপিতে থাকতে হলে ত্যাগ-তপস্যা করতে হবে। যাঁরা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে চান, তাঁরা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না। আমরাই রাখব না।'