৫-ই পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত চিদম্বরমের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Web Desk, ABP Ananda | 03 Sep 2019 06:42 PM (IST)
তকাল সিবল শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন, চিদম্বরমকে যেন তিহড় জেলে পাঠানো না হয়। গতকাল সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিম্ন আদালত তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিলে তাঁকে তিহড় জেলে পাঠাতে হোত।
নয়াদিল্লি: পি চিদম্বরমের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সোমবার দিল্লির স্থানীয় আদালত একদিন বাড়ানোর পর তাঁর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয় আজই। সিবিআইয়ের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়, তারা চিদম্বরমকে আর হেফাজতে রাখতে চায় না। তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তিহড় জেলে পাঠানো উচিত। আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারির দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত এক মামলায় আজ শীর্ষ আদালত জানাল, তাঁকে আগামী পরশু পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে। বিচারপতি আর ভানুমতী ও বিচারপতি এ এস বোপান্নাকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়ে বলেছে, সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতের এক্তিয়ারে নাক গলানো উচিত নয়, এ ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। সিবিআই আদালতের বিচারক অজয় কুমার কুহারও সুপ্রিম কোর্টের রায় পড়ে চিদম্বরমের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। চিদম্বরমের তরফে দুই কৌঁসুলি কপিল সিবল ও অভিষেক মনু সিংভি আদালতকে আশ্বস্ত করেন, ততদিন চিদম্বরমের অন্তর্বর্তী জামিন চাইবেন না তাঁরা। শীর্ষ আদালত বলেছে, জামিন-অযোগ্য ওয়ারেন্ট ও তারপর তাঁকে সিবিআই রিম্যান্ডে পাঠাতে নিম্ন আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে চিদম্বরম যে আবেদন করেছেন, ৫ সেপ্টেম্বর তার শুনানি করা হবে। যে নিম্ন আদালতে চিদম্বরমের মামলার শুনানি হচ্ছে, তাদের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল নির্দেশ দেয়, তারা জামিনের আবেদন বাতিল করলে তাঁর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ আরও তিনদিন বাড়াতে হবে। গতকাল সিবল শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন, চিদম্বরমকে যেন তিহড় জেলে পাঠানো না হয়। গতকাল সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিম্ন আদালত তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিলে তাঁকে তিহড় জেলে পাঠাতে হোত। কেন্দ্রে কংগ্রেস-ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী থাকাকালে আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশি অর্থ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে চিদম্বরমের। সিবিআই তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করে, তিনি জনজীবনে খুবই প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী লোক চিদম্বরম, দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী ছিলেন।