নয়াদিল্লি: রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপূজার আগের দিন এমনই মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৌর্য বলেছেন, " আমি মনে করি রাম রাষ্ট্র ও রুটি একে অপরের পরিপূরক। রাম জন্মভূমিতে যে জমির ওপর মন্দির হতে চলেছে তা ৫০০ বছরের পুরনো যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, যেখানে অগণিত করসেবক শহিদ হয়েছেন।"
তাঁর মতে রামমন্দির আন্দোলন একসময় এতটাই উন্মাদনা তৈরি করেছিল যে, গোটা দেশ তাতে জ়ড়িয়ে পড়েছিল। এমনকী এই বিষয়ে হিন্দু-মুসলিম কোনও ভেদাভেদ ছিল বলেও মানতে রাজি নন তিনি। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর কথায় " ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আমি মনে করি ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর তেমনই গুরুত্বপূর্ণ দিন। ওই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের রাস্তা প্রশস্ত করেছে।"
মৌর্যের মতে ৫ অগস্ট ততধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কারণ ওই দিন রামমন্দিরের শিলান্যাস হতে চলেছে। তবে কি রামমন্দির আন্দোলনকে, স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে এক করে দেখছেন তিনি? এ প্রসঙ্গের উত্তর এড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাম লালায় মন্দির তৈরি হতে চলেছে। জাতীয় ঐক্যের নির্দশন হয়ে উঠবে এটি। বিভেদকামী শক্তিগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।"
রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক বিরোধী দলগুলি। তাদের উদ্দেশে কেশবচন্দ্র বলেছেন ওইসব নেতারা মন্দির নির্মাণে আজ বড়ই বেদনাহত। তাঁদের কটাক্ষ করে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, " ওই সব নেতারা একসময় আমাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেন। স্লোগান দিতেন রামলালা হাম আয়েঙ্গে, মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে, তারিখ নেহি বাতায়েঙ্গে। এইসব লোকেরাই রামসেতুর অস্তিত্ব নিয়ে্ও প্রশ্ন তুলেছিলেন।"
ওই সব বিরোধীদলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন আজ রামের ইচ্ছেয় সব হচ্ছে। এখন কেউ যেন অযাচিত উপদেশ দিতে না আসে বা রাস্তা অবরোধ না করে।