অসমের এনআরসি-র কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে ডেপুটেশনে বদলির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Web Desk, ABP Ananda | 18 Oct 2019 01:02 PM (IST)
বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে গত ৩১ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি থেকে প্রায় ২০ লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়েছে। ৩১ আগস্টের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি থেকে অন্যায় ভাবে নাম বাদ পড়া, অসঙ্গতির অভিযোগে গত মাসে হাজেলার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে অসম পুলিশ।
নয়াদিল্লি: অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) আপডেট করার দায়িত্বে থাকা প্রতীক হাজেলাকে ডেপুটেশনে মধ্যপ্রদেশে বদলির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট গাইডলাইনে অনুমোদিত সর্বোচ্চ সময়ের জন্য তাঁর বদলির জন্য কেন্দ্র ও অসম সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁর বদলির কারণ জানাতে চায়নি প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। কারণ জানতে চেয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল। প্রধান বিচারপতি অবশ্য বলেন, কারণ বা যুক্তি ছাড়া কি কোনও আদেশ জারি হয়? সরকারকেও সাতদিনের মধ্যে এনআরসি-র কোঅর্ডিনেটর হাজেলার বদলির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। সম্ভবত তাঁর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বদলির নির্দেশ বলে একটি সূত্রের দাবি। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতিদ্বয় এস এ বোবদে ও আরএফ নরিম্যান। ১৯৯৫-এর ব্যাচের অসম-মেঘালয় ক্যাডারের আইএএস অফিসার অসমে এনআরসির সর্বশেষ তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্বে ছিলেন। বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসাবে গত ৩১ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত এনআরসি থেকে প্রায় ২০ লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়েছে। ৩১ আগস্টের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি থেকে অন্যায় ভাবে নাম বাদ পড়া, অসঙ্গতির অভিযোগে গত মাসে হাজেলার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে অসম পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হাজেলা চালু হওয়া এনআরসি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘লিগ্যাসি ডাটা’ সিস্টেম তৈরির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। অসমের এনআরসি শেষ আপডেট করা হয়েছিল প্রায় ৬৮ বছর আগে। মোট ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬১ জন নাগরিকপঞ্জিতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জনের নাম ওঠে, বাদ যায় ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। এনআরসি সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ নভেম্বর।