নয়াদিল্লি: প্রয়োজনে জম্মু ও কাশ্মীর যাবেন বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। গত ৫ আগস্ট থেকে গোটা রাজ্যে জারি হওয়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ, বিধিনিষেধের জেরে সুরাহা চাইতে হাইকোর্টে যাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে বলে জনৈক শিশু অধিকার রক্ষা আন্দোলনকর্মীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
৫ আগস্টই সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ ঘোষণা করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্র।
তিনি জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট যাবেন, সেখানকার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান গগৈ। সাধারণ রাজ্যবাসী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারছেন না বলে অভিযোগ শোনেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরে বিধিনিষেধ বহাল থাকার ফলে ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সের শিশু, নাবালকদের অবস্থা নিয়ে ওই শিশু অধিকার রক্ষাকর্মীর আইনজীবীর পিটিশনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, হাইকোর্টের তদারকিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি চাইলে সেখানে যেতে পারেন। আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে যেতে কীসের অসুবিধা? কেউ কি বাধা দিচ্ছে? আমরা প্রধান বিচারপতির (হাইকোর্ট) কাছে জানতে চাই। দরকার হলে আমি জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে যাব। মানুষ যদি হাইকোর্টে যেতে না পারেন, তবে আমাদের কিছু একটা করতে হবে। এটা খুবই গুরুতর ব্যাপার।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে রিপোর্ট পেশ করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পিটিশনারের অভিযোগ, হাইকোর্টে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তিনি জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে যাবেন বলে জানান গগৈ।
যদিও শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হাজির সলিসিটর জেনারেল কে কে বেনুগোপাল বলেন, লোক আদালত সহ জম্মু ও কাশ্মীরে সব আদালতেই স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে।
এদিন জম্মু ও কাশ্মীরে যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রকে সব প্রয়াস চালাতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।