নয়া দিল্লি : দেশে ক্রমশ কমছে সংক্রমণ। করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই মুহূর্তে যাতে কারও মধ্যে গা-ছাড়া মনোভাব না দেখা দেয় তার জন্য দেশবাসীকে সতর্ক করলেন নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল। তিনি জানিয়ে দিলেন, দেশে এখনও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় ভিকে পল বলেন, গোট দেশ নিরাপদ না হলে আমরাও নিরাপদ নই।


তিনি জানান, দেশের যেসব জায়গায় এখনও করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয়দল পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারই কেরল, অরুণাচলপ্রদেশ, ত্রিপুরা, ওড়িশা, ছত্তিসগড় ও মণিপুরে মাল্টি-ডিসসিপ্লিনারি দল পাঠানো হয়েছে। এইসব রাজ্যে সংক্রমণ বেশি রয়েছে। 


এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহেই তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এপ্রসঙ্গে ভিকে পল জানান, এটা আমাদের হাতে নেই। গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামো, শিশুদের জন্য ব্যবস্থা, আইসিইউ বেড ও ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানোর চেষ্টা করছে সরকার। যদি সকলে দায়িত্বপূর্ণভাবে চলেন, তাহলে এই ঢেউ আসবে না।


এদিকে দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এপ্রসঙ্গে নীতি আয়োগের সদস্যের দাবি, অগাস্ট-ডিসেম্বরে ২১৬ কোটি ডোজের সরবরাহ নিয়ে আশা-উচ্চাকাঙ্খা রয়েছে। এটা পুরোটাই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির বক্তব্যের উপর নির্ভর করে বলা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা চার লক্ষ পেরিয়ে গেছে। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮৫৩ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬১৭। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় ৪ লক্ষ ৩১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৫১। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯ হাজার ৬৩৭। এরইমধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩০২ জন। একদিনে সুস্থতার সংখ্যা ৫৯ হাজার ৩৮৪।