ব্রহ্মপুর (ওড়িশা): ফের কি বিপদসঙ্কেত রেল যোগাযোগে (Indian Railways)? মঙ্গলবার সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসের (Secunderabad-Agartala Express) এসি কামরা (AC Coach) থেকে ধোঁয়া (Smoke) বেরোতে দেখা গেলে ওড়িশার ব্রহ্মপুর স্টেশনে (Brahmapur Station) ট্রেনটি থামাতে বাধ্য় হন রেলকর্মীরা। ধোঁয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। কোনও বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় তাঁরা কামরা বদলের দাবি জানাতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে।  


কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ট্রেনটির বি-ফাইভ, বাতানুকূল কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেস তখন ওড়িশার ব্রহ্মপুর স্টেশনে। ধোঁয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক তৈরি হয় যাত্রীদের মধ্যে। দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও যাত্রীরা ওই কামরায় সফর করতে চাননি। আরও বড় কোনও বিপদের আশঙ্কা থেকেই আতঙ্ক তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। কামরা বদলের দাবি তোলেন তাঁরা। পরে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, 'ব্রহ্মপুর স্টেশনের কাছে সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসের বি-ফাইভ কামরায় ছোটখাটো একটি বৈদ্যুতিন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কর্তব্যরত কর্মীরা দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান করেছেন।' হালে ওড়িশা করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার পর থেকে রেল-যাত্রা নিয়ে এমনিতেই চোরা উদ্বেগ কাজ করছে অনেকের মধ্যে। তার উপর ফের সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসে ধোঁয়া। তবে বড়সড় কোনও বিপর্যয় হয়নি। ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্টেশন থেকে ছাড়ে ট্রেনটি।


কী পরিস্থিতি বাহানাগায়?
'বাংলার (West Bengal) ১০৩ জনের দেহ শনাক্ত (Body Identification) করা গিয়েছে, ৩১ জনের খোঁজ নেই', এদিন ওড়িশা (Odisha Train Accident) পৌঁছে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে জানালেন, ওড়িশায় এখনও বাংলার ৯৭ জন চিকিৎসাধীন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পড়শি রাজ্য, ওড়িশার বিজেডি সরকার শাসিত প্রশাসনকে সমস্ত সহযোগিতার জন্য় ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সঙ্গে বলেছেন, 'বাংলার ৪০ জন আধিকারিক এখানে রয়েছেন। ৪০০-র বেশি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। ডাক্তার-নার্সরাও আছেন।' এদিন আরও একবার ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন মমতা। তবে সঙ্গে এদিনও মনে করান, এই সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। সত্যিটাকে যাতে ধামাচাপা না দিয়ে প্রকাশ্যে আনা হয়, সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'শুভবুদ্ধির উদয় হোক।' প্রসঙ্গত, বালেশ্বরে করমণ্ডল-বিপর্যয়ের পরের দিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা। মঙ্গলবার ফের একবার ওড়িশায় পৌঁছে গেলেন তিনি। কটকে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এ রাজ্যের আহতদের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই ভুবনেশ্বর এইমসে গিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা। মৃতদেহ রাজ্যে আনা, আহতদের ফেরানো এবং নিখোঁজদের অনুসন্ধান, গোটা প্রক্রিয়ার তদারকির জন্য তিনদিনের পাহাড় সফর গতকালই বাতিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন:মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড