লাহৌর: দুরন্ত গতিতে ছুটে চলার সময় আচমকা লাইনচ্যুত। এ বার ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। তাতে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৮০। দুর্ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। আশেপাশের হাসপাতাল, নার্সিংহোম গুলিতে চরম তৎপরতা শুরু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। (Pakistan Train Accident)
রবিবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের দক্ষিণে, নবাবশাহ শহরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সাহারা রেল স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় হাজারা এক্সপ্রেস। করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময় আচমকাই লাইন থেকে পিছলে যায় চাকা। ট্রেনের আটটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর পরই শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকার্য। (Hazara Express Derailed)
একদিন আগেই পাকিস্তানে অল্পের জন্য- বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় আল্লামা ইকবাল এক্সপ্রেস। শনিবার ওই ট্রেনের দু'টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। তার জেরে ট্রেন চলাচলই বন্ধ হয়ে যায় ওই লাইনে। তবে ওই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। রবিবার হাজারা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৩ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর সামনে আসছে।
আরও পড়ুন: Viral News: বিমানে নেই এসি, ঘেমে স্নান যাত্রীরা! ইন্ডিগো ফ্লাইট নিয়ে অভিযোগ কংগ্রেস নেতার
পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী খোয়াজা সাদ রফিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩৩জনের মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে তাঁদের কাছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলেও খবর। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে সরকার। উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে যান্ত্রিক গোলযোগের তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
পাক রেলওয়ের আধিকারিক ইজাজ শাহ জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। উদ্ধারকার্য শুরু হওয়ার পাশাপাশি, আর একটি ট্রেন পাঠানো হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে, যাতে তাতে চাপিয়ে বাকি যাত্রীদের গন্তব্য়ের পাঠিয়ে দেওয়া যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যেই ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে চারিদিকে উত্তেজনা দেখা গিয়েছে।
গত কয়েক বছরে এমন একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পাকিস্তান। ২০২১ সালের জুন মাসে সিন্ধ প্রদেশেই মুখোমুখি ধাক্কা লাগে দুই টিরেনের। তাতে কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্য়ু হয়। আহত হন আরও ১৫০ জন। তার আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তেজগম এক্সপ্রেসে আগুন লাগে। সেই দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যান ৭৫ জন। ২০০৫ সালে ঘোটকিতে দু'টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০০-র বেশি মানুষ মারা যান।