সামাসের বক্তব্য, আলিয়াকে প্রথমবার ছবিতে তিনিই সুযোগ দিয়েছিলেন। আলিয়া অভিনয় করেছিলেন তাতে, তিনি ছিলেন সহ পরিচালক। তাঁকে জোর করে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার মধ্যে টানা হচ্ছে। আলিয়া একটার পর একটা সম্পর্কহীন ঘটনা জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও এনেছেন, যা যে কোনও মহিলার পক্ষে আজকাল আনা কোনও ব্যাপারই না। আলিয়া তাঁর এত সব অভিযোগ নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন না কেন? উনি পুলিশে অভিযোগ করেছেন ঠিকই কিন্তু পুলিশে অভিযোগ আর আদালতে মামলা- দুটোর অনেক তফাত।
আলিয়া বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে চলে নওয়াজের পরিবার অথচ সব জেনেও নওয়াজ টুঁ শব্দ করেননি। এ নিয়ে সামাসের বক্তব্য, আলিয়া অভিযোগ এনেছেন তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে, নির্দিষ্ট করে তাঁর বিরুদ্ধে নয়। মূল অভিযুক্ত তাঁদের অন্য ভাই আয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। কিন্তু আলিয়া তো স্বীকার করেই নিয়েছেন, গত ৫ বছর বেশিরভাগটাই তাঁরা আলাদা থাকতেন, তাহলে এই শারীরিক অত্যাচারের কথা উঠছে কী করে। আলিয়া বলেছিলেন, নওয়াজের পরিবার এই সময়টাও তাঁর সঙ্গে এসে মাঝে মধ্যেই থাকত। কিন্তু সামাসের দাবি, আলিয়ার বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যে। তাঁদের মা-বোন মুম্বইতে এলে তাঁর কাছেই থাকতেন। তাঁর মুম্বইতে যথেষ্ট বড় বাড়ি রয়েছে।
আলিয়া দাবি করেছেন, নওয়াজদের পরিবারে ৪টি ডিভোর্সের মামলা চলছে, নওয়াজের প্রথম স্ত্রীও এখনও ডিভোর্স পাননি। এছাড়া চলছে আরও ৭টি মামলা। সামাসের বক্তব্য, আলিয়া এই সব অভিযোগ আগে প্রমাণ করুন। টুইটারে কিছু অভিযোগ করা আর তা আদালতে প্রমাণ করার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। সামাস বলেছেন।