বেজিং: দিনে তিন থেকে চারটে ডিম খেলে করোনা আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত সুস্থ হবেন। এমনটাই জানালেন চিনের প্রথম সারির কোভিড-১৯ বিশেষজ্ঞ ঝ্যাং ওয়েনহোং।


সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ তথা সাংহাইয়ের কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল টিমের প্রধান ঝ্যাং বলেন, স্থানীয় করোনা রোগীদের পথ্যে আমরা এই পন্থা (দৈনিক ৩-৪ ডিম খাওয়া) সুপারিশ করেছিলাম। তাঁর মতে, বেশি ডিম মা মাছ খেলে রোগীরা এর মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোটিন পাবেন। তাতে তাঁদের দ্রুতহারে আরোগ্যলাভ হবে।


চিনের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ফ্যান ঝিহং বলেন, মুরগির ডিম জন্য তাঁদের জন্য খুব ভাল, যাঁদের অতিরিক্ত প্রোটিন দরকার। যেমন-- ক্রীড়াবিদ, অন্তঃসত্ত্বা এবং রোগ বা চোট-আঘাত থেকে সেরে উঠছেন এমন ব্যক্তি।


তিনি বলেন, ডিমে ১২ ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এছাড়া এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চিনের চিকিৎসক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এই অতিমারীর সময়ে রোগী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ-- সকলের সুষম আহার খাওয়া জরুরি। শ্বাসজনিত বিশেষজ্ঞ ঝং নানসানের মতে, দুধ খেলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাবৃদ্ধি হয়।


চিনা বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে হাল্কা উপসর্গ রয়েছে এবং যাঁরা আরোগ্যের পথে, তাঁদের দিনে একটি ডিম এবং ৩০০ গ্রাম দুধ বা যে কোনও দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি, ২৫০-৪০০ গ্রাম আনাজ বা আলু, ১৫০-২০০ গ্রাম মাংস, মাছ বা চিংড়ি, ৫০০ গ্রামের ওপর সবজি, ২০০-৩৫০ গ্রাম ফল এবং ১.৫-২ লিটার জল প্রাত্যহিক খেতে হবে। অন্যদিকে, গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের বেশি পরিমাণে ডিম, বিনস, দুধ, চালের গুঁড়ো এবং যথেষ্ট পরিমাণ ফল-সবজি খেতে হবে।