মুম্বই : বিরোধী জোটে কি ফাটল ? আদানি-ইস্যুতে (Adani Issue) উল্টোসুর শরদ পাওয়ারের ! যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) নয়, আদানিকাণ্ডের তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) ওপর ভরসা করছেন NCP-প্রধান। শরদ পাওয়ারের দাবি, এখন সরকারকে আক্রমণ করতে আম্বানি-আদানিদের নাম করা হচ্ছে। কিন্তু দেশের প্রতি ওদের অবদান ভুললে চলবে না। এর থেকে অনেক বেশি জরুরি বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা। আদানিকাণ্ডে আমার দল যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের পক্ষে সায় দিলেও, আমার মনে হয়, শাসকদল এই কমিটিতে থাকায়, সঠিক তদন্ত হবে না।


আদানি-ইস্যুতে এবার অন্য সুর শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) গলায়। যা নিয়ে ব্যাখ্যাও দেন সঞ্জয় রাউত। শরদ পাওয়ার বলেছেন যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপির হওয়ায় সঠিক তদন্ত হবে না। আদানি-ইস্যুতে তৃণমূল, NCP সকলেরই নিজস্ব মতামত রয়েছে। তাতে বিরোধী ঐক্যে প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন উদ্ধব ঠাকরে ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় রাউত। তবে ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে যায় যথেষ্ট  চাঞ্চল্য। পরে তাই শরদ পাওয়ার ফের একবার সংবাদমাধ্য়মের কাছে বলেন, যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হলে তাতে ১৫ জন শাসকদলের সদস্য থাকবেন। ৫-৬ জন বিরোধী শিবিরের সদস্য থাকবেন। তাই সত্য উদঘাটন হওয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বরং সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে সঠিক তদন্তের জায়গাই বেশি।


বিরোধীদের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে কি না প্রশ্ন উঠলেও শরদ পাওয়ারের মন্তব্যের পর তেমনটা মানতে নারাজ কংগ্রেস। হাত শিবিরের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, এনসিপি- সহ সমমনষ্ক ২০ টি বিরোধী দল একসঙ্গে লড়াই করছে ভারতের গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার জন্য। বিজেপি যেভাবে আঘাত হানছে দেশের ওপর তার বিরুদ্ধে একসঙ্গে জারি থাকা লড়াই চলবে।




প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের এনসিপি ও উদ্ধব থাকরের শিবসেনা মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাড়িতে রয়েছে। রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর কংগ্রেসের পাশে শিবসেনা থাকলেও তারপর সাভারকার নিয়ে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিল শিব সেনা। রাহুলের যে মন্তব্যের যেখানে খোলাখুলি বিরোধীতা করেছিলেন উদ্ধব থাকরে। যে প্রসঙ্গ সামনে তুলে ধরে আবার সাভারকার বীরযাত্রা শুরু করেছিল একনাথ শিণ্ডের শিবসেনা। 


আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন, জেল থেকেই খোলা চিঠি মণীশ সিসোদিয়ার