মুম্বই: মহারাষ্ট্রের জোট সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করবে না, দেশব্যাপী জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরির প্রস্তাবিত প্রক্রিয়াও সেখানে চালু হবে না। জানিয়ে দিলেন এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ার। কংগ্রেস, শিবসেনা ও এনসিপির জোট সরকার চলছে মহারাষ্ট্রে। দেশের একাধিক শহরে সিএএ, এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে। বেশ কয়েকটি বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্য সরকার এনআরসি চালু করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এবার দেশের বাণিজ্য নগরীর রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকারের শরিক দলের সর্বোচ্চ নেতাও কঠোর অবস্থান নিলেন।
দেশের ধর্মীয়, সামাজিক সৌহার্দ্য নষ্ট করতেই সিএএ, এনআরসির পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে পওয়ারের দাবি। ভারতীয় অর্থনীতির ঝিমিয়ে পড়া থেকে মানুষের নজর ঘোরানোও এর উদ্দেশ্য বলে মনে করেন তিনি। পওয়ার বলেছেন, দেশের ধর্মীয় ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার লক্ষ্যে সুচতুর কৌশল হিসাবে বিজেপি সরকার সিএএ, এনআরসি নিয়ে এসেছে। আর্থিক সঙ্কট থেকে নজর ঘোরাতে এগুলিকে তারা ব্যবহার করছে।
পওয়ারের অভিমত, বিহার সহ দেশের আটটি রাজ্য, যেখানে বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায়, এনআরসি চালু না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারেরও একই অবস্থান হওয়া উচিত। সংখ্যালঘুরাই শুধু নন, দেশের ঐক্য, প্রগতির কথা ভাবেন, এমন সকলেই সিএএ, এনআরসির বিরোধিতা করছে বলে দাবি করে তিনি প্রশ্ন করেন, কেন শুধু পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা লোকজনকে সংশোধিত আইনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, শ্রীলঙ্কার তামিলদের নয়।
এলগার পরিষদ মামলায় একাধিক বিশিষ্ট মানুষের গ্রেফতারি নিয়ে তিনি বিস্ময় জানিয়ে বলেন, কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে শুধুমাত্র হিংসাত্মক বয়ান ও জোরালো শব্দ থাকা কবিতা পড়ার জন্য। পুলিশ ওদের গ্রেফতার করে জেলে পোরার জন্য এটা কাজে লাগিয়েছে। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।
গতকাল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মারাঠওয়াড়া এলাকার বিড, পারভানি, নানদেদ, হিঙ্গোলি জেলায় প্রবল বিক্ষোভ হিংসাত্মক চেহারা নেয়। পুনে শহরে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ হাজার মানুষ মিছিল করেন। মৌন মিছিলও হয়।