নয়াদিল্লি : 'ছবি-বিতর্ক' শেষমেশ মুখ খুললেন শশী থরুর। কিছুদিন আগে মহুয়া মৈত্র-র (Mahua Moitra) সঙ্গে তাঁর ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রশ্নে মুখ খোলেন তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ। শশী থরুরের দাবি, 'নোংরা রাজনীতির শিকার' হতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদকে। পাশাপাশি তাঁকে 'সন্তানতুল্য' বলেও জানিয়েছেন শশী। 


মহুয়া মৈত্রর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনা ১৫ জন হাজির থাকলেও ছবিগুলো ক্রপ করে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই জানান কংগ্রেস সাংসদ (Congress MP)। শশী থরুর বলেছেন, 'এটা নোংরা রাজনীতি। ওই বাচ্চার জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। ও (মহুয়া) বাচ্চা নয়, তবে আমার কাছে তেমনই। আমার থেকে ২০ বছরের ছোট সাংসদ ও। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমার বোন সহ জনা ১৫ জন হাজির ছিল, ইচ্ছাকৃতভাবে ছবিগুলে ক্রপ করে ব্যবহার করা হয়েছে।'


তাঁর ও মহুয়া মৈত্র-র ছবি নিয়ে কিছুদিন আগে যে ট্রোল হয়েছে, সে প্রসঙ্গে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ শশী থরুর (Shashi Tharoor)। বরং কংগ্রস সাংসদের বক্তব্য, 'বলা হচ্ছে এটা ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ ছিল, তাহলে ছবিগুলো কে তুলল ?'


গত সপ্তাহে থরুরের সঙ্গে তাঁর ছবি ভাইরাল হওয়া ও জারি থাকা ট্রোল প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন মহুয়া মৈত্রও। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের নিশানায় ছিল বিজেপি (BJP)। গত ১৫ অক্টোবর এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, 'ভাবতেও অবাক লাগে ব্যক্তিগত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপির ট্রোল বাহিনী।' পাশাপাশি উল্টো আক্রমণের পথে হেঁটে মহুয়ার বক্তব্য ছিল, 'বাঙালি মহিলারা জীবন কীভাবে কাটাতে হয় জানেন।'


ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছিল, মহুয়া মৈত্র-র হাতে রয়েছে একটি সিগার। যে প্রসঙ্গে পরে তৃণমূল সাংসদ সাফ জানিয়েছিলেন, ধূমপানের ক্ষেত্রে অ্যালার্জিক তিনি। অন্য এক বন্ধুর সিগার হাতে তুলে নিয়ে তিনি 'পোজ' দিচ্ছিলেন বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিলেন মহুয়া মৈত্র।


প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্র-র বিরুদ্ধে এমনিতেই ঘুষের বদলে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। যে প্রসঙ্গে আদানি গোষ্ঠী ও কেন্দ্রের সরকারকে পাল্টা আক্রমণ শানাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদও। গোটা ঘটনাক্রমের মাঝে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করেছে দলেরই সাংসদের থেকে। তাঁরা জানিয়েছে, 'যা বলার মহুয়া নিজেই বলবেন।'           


আরও পড়ুন- লিভ-ইন সম্পর্ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই 'টাইমপাস', পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের