কলকাতা : ঢাকা ছাড়ার আগে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় পেয়েছিলেন হাসিনা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল এই খবর। হাসিনা নাকি দু দিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে মাত্র ৪৫ মিনিটই সময় দেওয়া হয় পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য। সেনাবাহিনী প্রধান নাকি বলে, ৪৫ মিনিটের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে পারলে তবেই তাঁকে সুরক্ষা দিতে পারবেন তাঁরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন খবরই প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপর  হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই আওয়ামি লিগ বিরোধীদের হিংস্রতা আরও তীব্র হয়। সারা দেশ জুড়ে তাঁরা হিংসা, জুলুম, প্রাণনাশ ও ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম শুরু করে দেয়। কিন্তু এখন বাংলা দেশের সংবাজমাধ্যম 'প্রথম আলো'তে প্রকাশ, হাসিনা নাকি পদত্যাগই করেননি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন হাসিনা-পুত্র জয়। 


ওয়াশিংটন থেকে রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর দাবি, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার সময়টুকুও দেওয়া হয়নি। তিনি আদৌ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। আসলে তিনি সময়টুকুই পাননি। হাসিনা চেয়েছিলেন , দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্ রাখতে। তিনি  পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে সময় দেওয়াই হয়নি। বিক্ষোভকারীরা  ক্রমেই উত্তেজিত ভাবে মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগিয়ে আসছিল । পরিস্থিতি মারাত্মক ছিল। ব্যাগটুকুও গোছাতে পারেনি তিনি। তাই বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তিনিই এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। 


হাসিনা পুত্র দাবি করেন, আওয়ামি লিগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে । তিন মাসের মধ্যে এই নির্বাচন হতে হবে। রয়টার্সকে জয় জানান, তিনি নিশ্চিত আওয়ামি লিগ আসবে ক্ষমতায়। নইলে বিরোধী আসনে বসবে।  


এর আগে পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় হাসিনার বাংলাদেশে ফেরার সম্ভাবনার কথা জানান। বলেন, ৭৬ বছরের শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরবেনই। তবে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধোঁয়াশাই বজায় রাখেন। মুজিবর - কন্যা রাজনীতিতে ফিরবেন কি না  স্পষ্ট করেন জানানি হাসিনা - পুত্র। বাংলাদেশের আওয়ামি লিগ সমর্থকদের আশ্বাস দিয়ে জয় বলেন, শেখ মুজিবর রহমানের পরিবারের কেউ পালিয়ে যাবেন না বা আওয়ামি লিগকে এই অবস্থায় ছেড়ে যাবেন না।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন: শনির সাড়েসাতির প্যাঁচে পড়বে এই রাশি! দুঃসহ ভোগান্তি, প্রবল অর্থভাব এড়াতে থাকুন সাবধানে