নয়া দিল্লি: বেল পাতা অর্থাৎ বিল্বপত্র ভগবান শিবের খুব প্রিয়। কথিত আছে যে এই পাতা শিবের মনকে শান্তিতে রাখে এবং মনে শান্তি দেয়। ভগবান সর্বদা প্রকৃতির সুরক্ষার জন্য উদ্বিগ্ন, তাই তাকে অর্পণ করা পত্র, ফুল এবং ফুলের ব্যবহারও প্রকৃতির সুরক্ষার উপর জোর দেয়।


বিল্বপত্র বা বেলপাতা ছাড়া দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শিবকে বেলপাতা নিবেদন করলে তিনি প্রসন্ন হন।                                                           


শিবলিঙ্গে বেলপাতা নিবেদনের নিয়ম 



  • সব সময় তিনটি পাতা সহ বেলপাতা শিবলিঙ্গে নিবেদন করা উচিত। খেয়াল রাখবেন এতে যেন কোনও দাগ না থাকে। 

  • কাটা-ছেঁড়া ও শুকিয়ে যাওয়া বেলপাতা একেবারেই নিবেদন করা ঠিক নয়। 

  • শিবলিঙ্গে অর্পণের আগে ভাল করে ধুয়ে বেলপাতার মসৃণ দিকটি অর্পণ করুন। 

  • পুজোর সময় বেলপাতা না থাকলে, আগে নিবেদিত পাতা ধুয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। বেলপাতা কখনও বাসি হয় না। 

  • শিবলিঙ্গে ১, ১১ বা ২১ টি বেলপাতা নিবেদন করা শুভ।


মনে রাখবেন চতুর্থী, অষ্টমী, নবমী, চতুর্দশী এবং অমাবস্যা তিথি, সংক্রান্তি এবং সোমবারে বেল পাতা একেবারে ভাঙা উচিত নয়। এই তিথিতে আপনি ভাঙা বেল পাতা শিবকে নিবেদন করতে পারেন না।


আরও পড়ুন, বেলপাতাতেই তুষ্ট হন শিব? কী উপায়ে পুজো করলে সিদ্ধিলাভ?


মা পার্বতীর ঘাম থেকে বেল গাছের জন্ম। এই কাহিনি স্কন্দপুরাণে বর্ণিত আছে। একবার মা পার্বতীর কপালে ঘাম জমেছিল এবং মন্দার পাহাড়ে সেই ফোঁটা পড়েছিল। সেই সময়ে বেল গাছের জন্ম হয়। কথিত আছে যে বেল পত্রের গাছে পাঁচ দেবী গিরিজা, মহেশ্বরী, দক্ষিণানী, পার্বতী এবং মাতা গৌরী বাস করেন।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে বেলগাছ অত্যন্ত পবিত্র। অনেক তীর্থস্থানে এই গাছকেই দেবতা রূপে পুজো করা হয়। এই গাছকে দেবাদিদেব মহাদেবের আরেক রূপ হিসেবে গন্য করা হয়। সেই কারনেই শিবের আরাধণার অন্যতম উপকরণ হল বেলপাতা। এই পাতা তিনটি একত্রে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর বলে মনে করা হয়। আর তিনটি বেলপাতা একত্রে থাকলে তবেই তা পুজোর উপকরণের নিঁখুত বেলপাতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।