কলকাতা: লকডাউনের একমাস পেরোতেই শুক্রবার কেনাকাটায় আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংক্রমণহীন গ্রাম ও শহরে খোলা যাবে দোকান। তবে, বন্ধই রাখতে হবে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, মদের দোকান।


শনিবার সকালে বীরভূমের কীর্ণাহারে বেশ কিছু দোকান খোলা চোখে পড়ে। তবে খুললেও ব্যবসায়ীদের দাবি, পুলিশ বারণ করায়, তা আবার বন্ধ করে দিতে হয়। পুলিশ মাইকে প্রচার করে, সরকারি অর্ডার যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ কোনও দোকান খোলা যাবে না।

একইরকম দোটানায় পড়তে দেখা গেল জলপাইগুড়ির দীনবাজারের ব্যবসায়ীদের। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ না পেয়ে, দোকান খোলা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন ব্যবসায়ীরা।

আবার মালদার চাঁচল বাজারে এদিন কয়েকটি কাপড়ের দোকান খুলতে দেখা যায়। মাস্ক পরেই পসার সাজিয়ে বসেন দোকান মালিক থেকে কর্মচারীরা। উত্তর দিনাজপুর বিভিন্ন জায়গাতেও বেশ কিছু দোকান খোলে। খোলে সোনার দোকানও।

তাছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকার পর পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা-চন্দ্রকোণা, বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গা, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, বীরভূমের বোলপুর, এবং হুগলির সিঙ্গুরেও বেশ কিছু দোকান খোলে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় শপিং মল ছাড়া বাকি সব জায়গায় দোকান খোলা যাবে।

• শহরে পাড়া, আবাসিক এলাকায় দোকান খোলা যাবে।
• তবে শহরে শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্সে দোকান খোলা রাখা যাবে না।
• ই-কমার্স সংস্থাগুলি আগের মতোই শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে।
• মদ বিক্রি করা যাবে না।
• খোলা যাবে না সেলুন, স্পা।
• করোনা সংক্রমিত এলাকায় খোলা যাবে না দোকান।
• শপস অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের আওতার দোকান খুলবে সংক্রমণমুক্ত এলাকায়।
• যে সব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সেখানে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও দোকান খালো যাবে না।

দোকান খুললেও মানতে হবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম।

• দোকানে ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী রাখা যাবে না।
• যে সব জায়গায় দোকান খুলবে, সেখানেও মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
• দোকানের কর্মচারীদের মাস্ক-গ্লাভস পরে থাকতে হবে।