কলকাতা: ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত সিকিম (Sikkim Flood)। রাস্তা ভেঙেছ, ধস নেমে বিচ্ছিন্ন বহু এলাকা। আটকে পড়েছেন বহু এলাকার বাসিন্দারা। দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে রয়েছেন আটকে পড়া পর্যটকরাও। এই পরিস্থিতিতেই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা (Army)। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং ভয়াবহ হড়পা বানের (Sikkim Flash Floods) কোপ পড়েছে সেনার উপরেও। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। নিখোঁজ বেশ কয়েকজন সেন জওয়ান। তার মধ্যেই উদ্ধারে ব্যস্ত সেনা। ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ (Telephone connectivity) বিচ্ছিন্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়। তাদের জন্য টেলিফোন সংযোগের সুবিধা দিচ্ছে সেনা। চলছে নিখোঁজদের জন্য তল্লাশি অভিযানও।
Guwahati PRO-এর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ২২ জন সেনা জওয়ান নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের জন্য তল্লাশি অভিযান চলছে। কাজে নেমেছে সেনার ত্রিশক্তি কর্পস (Trishakti Corps)। দুর্গতদের চিকিৎসা, ওষুধ দিচ্ছে এই বাহিনী। পাশাপাশি টেলিফোন যোগাযোগের সুবিধাও এনে দিচ্ছে। উত্তর সিকিমের (North Sikkim) চুংথাং, লাচুং এবং লাচেন-এ আটকে পড়া বাসিন্দা এবং পর্যটকদের সাহায্য করছে ত্রিশক্তি কর্পস।
তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনার (Indian Army) ত্রিশক্তি কর্পস। ২২ জন নিখোঁজ সেনা জওয়ানের জন্য তল্লাশি চলছে। সিংটামের কাছে বুরডাংয়ে ধসের জন্য মাটি চাপা পড়েছে বহু গাড়ি। সেগুলি উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে। প্রবল জলের তোড়ে তিস্তায় ভেসে যাওয়ার খবর মিলেছে। সেই কারণেই তিস্তায় খোঁজ চলছে। প্রথমে ২৩ জনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা জানা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজনকে ৪ অক্টোবর জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। সেই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে কর্মরত সব সেনা জওয়ান সুরক্ষিত রয়েছেন, মোবাইল সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় তাঁরা বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, তিস্তা থেকে যা দেহ মিলেছে তার মধ্যে ৪ জন জওয়ানের দেহ। যদিও PTI সূত্রের খবর, ওই চার জন সেই নিখোঁজ ২২ জনের মধ্যে কেউ কিনা তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮, উদ্ধারের পাশাপাশি পর্যটকদের ফেরানোয় নজর সিকিম প্রশাসনের