নয়া দিল্লি : করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে কোভিশিল্ডের সিঙ্গল ডোজ এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬১ শতাংশ কার্যকর। এমনই জানালেন ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইম্যুনাইজেশন-এর এক্সপার্ট চেয়ারম্যান এন কে আরোরা। এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের সময়ের ব্যবধান নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই, NTAGI-এর এক্সপার্ট চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এই গ্রুপ নতুন তথ্য খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবে।
কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের সময়ের ব্যবধান ৪-৬ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে NTAGI-এর এক্সপার্ট চেয়ারম্যান বলেন, এটা বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত ছিল। এনিয়ে NTAGI-এর সদস্যদের মধ্যে কোনও ভিন্ন মত ছিল না।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এবং ভ্যাকসিনেশন দুটিই গতিশীল। আগামীকাল যদি ভ্যাকসিন প্ল্যাটফর্মের তরফে বলা হয় যে, সংক্ষিপ্ত বিরতি দেশবাসীর পক্ষে তুলনামূলকভাবে ভাল, এমনকী যদি তাতে ৫ থেকে ১০ শতাংশও উপকার থাকে, তাহলেও কমিটি তার উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সেই পথে এগবো।
আরোরার মতে, ভ্যাকসিন ডোজের সময়ের ব্যবধান বাড়ানোর সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মত কারণে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য দফতরের এজেন্সি পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড একটি ডাটায় প্রকাশ করে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান থাকলে তার কার্যকারিতা ৬৫ থেকে ৮৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, এর ভিত্তিতে ওরা(ইংল্যান্ড) আলফা ভ্যারিয়েন্টকে রুখেছে। ১২ সপ্তাহের বিরতি রাখার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। বিরতি বাড়ালে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়ার বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে। সেই জন্যই ১৩ মে এই মেয়াদ বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, NTAGI কেন এই বিরতি আগে বাড়িয়ে ১২ সপ্তাহ করেনি ? আরোরার এর উত্তরে জানান, আমরা ঠিক করেছিলাম, ইংল্যান্ডের গ্রাউন্ড লেভেলের তথ্যর জন্য একটু অপেক্ষা করা যাক। এছাড়া কানাডা, শ্রীলঙ্কা সহ অন্যান্য কয়েকটি দেশও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের বিরতি ১২-১৬ সপ্তাহ করেছে।