হুগলি: লোকসভা ভোটের পর দলবদল! এবার পুরভোটের আগেই ঘর ওয়াপসি!বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন হুগলিতে। বুধবার চেতলায় ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন হুগলির ৬ জন বিজেপি নেতা।


এদের মধ্যে শেখ নইমুল হক ও শেখ বাদশা, লোকসভা ভোটের পরপরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।শেখ নইমুল হক খানাকুল ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ।এবং শেখ বাদশা, খানাকুল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।

আরও যে চারজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন, তাঁরা প্রথম থেকেই বিজেপি করতেন। তাঁদের মধ্যে,রামকৃষ্ণ মাইতি, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও আরামবাগের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন।অখিল জানা এবং অর্ণব সরকার বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।পিন্টু চোংদার ছিলেন বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের দায়িত্বে।

এদিন তৃণমূলে যোগ দেন হুগলির মিম নেতা মইনউদ্দিন মণ্ডলও।

ফিরহাদ জানিয়েছেন, সিএএ, এনআরসি বিরোধিতা করেই দলবদল করেছেন তাঁরা।

চলতি বছরেই হুগলির আরামবাগ ও তারকেশ্বর পুরসভায় ভোট হবে।

তবে যে ৬ নেতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন, তাঁরা কেউই সরাসরি পুরসভার সঙ্গে জড়িত নন। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই পুরভোটের প্রচারে যুক্ত থাকেন। তাই এই নেতাদের দলবদলের জেরে পুরভোটে তাঁদেরই লাভ হবে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

হুগলি তৃণমূল কংগ্রেসের  কার্যকরী সভাপতি প্রবীর ঘোষাল বলেছেন, যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা ভাঁওতাবাজি বুঝতে পেরে ফিরে আসছেন।

যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বিজেপি।  বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেছেন, তৃণমূল থেকে এসেছিলেন, কিন্তু বিজেপিতে কোনওদিনই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, আর বিজেপির পরিবেশেও ওরা মানিয়ে নিতে পারছিল না, ওঁরা এলেন কি গেলেন, কোনও যায় আসে না। গেলেও কোনও অসুবিধা হবে না। তৃণমূলে থাকাকালীন  ওদের বিরুদ্ধে কাটমানি সহ একাধিক অভিযোগ ছিল।

দলবদলের আদৌ কোনও প্রভাব ভোটবাক্সে পড়ে কি না, তার উত্তর আগামী দিনেই মিলবে।