১. চার্জ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে এলে দ্রুত চার্জ করতে হবে
অনেক সময়ই আমরা ফোনের চার্জিং নিয়ে উদাসীন হয়ে পড়ি। ফোন একেবারে বন্ধ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত চার্জে বসানো হয় না। কিন্তু জানেন কী, এতে ব্যাটারির ওপর বেশ ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। ব্যাটারি ঠিক রাখতে হলে ব্যাটারিতে ২০ শতাংশ চার্জ থাকতে থাকতেই চার্জে বসানো উচিত। ব্যাটারি ডাউন হতে না দিয়ে চার্জ করলে ক্ষতিকারক প্রভাব এড়ানো যায়। এজন্য সম্ভব বলে সঙ্গে একটা পাওয়ার ব্যাঙ্কের ব্যবহার করা যেতে পারে। এরফলে প্রয়োজনে ফোন দ্রুত চার্জ করা যায়।
২. অরিজিনাল চার্জারের ব্যবহার
ফোনের ব্যাটারি যাতে খারাপ না হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে সেজন্য স্মার্টফোন অরিজিনাল চার্জারের মাধ্যমেই চার্জ করা দরকার। অন্য কোনও চার্জারে চার্জ করলে তা ব্যাটারির ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। এমনটা চালিয়ে গেলে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে পারে।
৩. চার্জের আগে কভার সরিয়ে দিতে হবে
ফোন যাতে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সবাই কভারের ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু কভার সহ ফোন চার্জ করলে দ্রুত গরম হয়ে যায়। চার্জিং পিনের সংযোগ অনেক সময় যথাস্থানে না হওয়ায় চার্জ হয় না। সেজন্য ফোনে একেবারে পূর্ণ চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। চার্জেরর সময় কভার সরিয়ে দিলে ভালো।
৪. ফাস্ট চার্জিং অ্যাপের ব্যবহার না করাই ভালো
অনেক সময় ফোনের ব্যাটারি বাঁচাতে ফাস্ট চার্জিং অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়, যা ফোনে লাগাতর চলতে থাকে। এতে ফোনে হয়ত দ্রুত চার্জ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ব্যাটারি সেভার এই থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যাটারির ওপর চাপ বাড়ায়।
৫.রাতে ঘুমোনোর সময় ফোনে চার্জ এড়িয়ে চলতে হবে
অনেক সময় রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ফোন চার্জে বসানো হয়। ফলে রাতভর চার্জ হতে থাকে। কিন্তু এমনটা করা একেবারেই ঠিক নয়। এতে ব্যাটারির ওপর প্রভাব পড়ে এবং ব্যাটারি দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে পারে। এজন্য পূর্ণ চার্জ হয়ে যাওয়ার পর আরও দেরি করে চার্জে বসিয়ে রাখা উচিত নয়।