পশ্চিম মেদিনীপুর: সুদূর মহারাষ্ট্র থেকে মৃতদেহ নিয়ে রাজ্যে ফিরে এসেও চরম বিপাকে পড়তে হল এক শ্রমিকের পরিবারকে। করোনার ভয়ে কোনও শ্মশানেই তাঁর দেহ দাহ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। ছেলের শোক ভুলে পরিবারের এখন চিন্তা, তাঁর সৎকার কীভাবে করা হবে।

পিংলার নরখা গ্রাম থেকে মহারাষ্ট্রে তামার কাজে গিয়েছিলেন বছর তেইশের রাজু জানা। লকডাউনের জেরে মহারাষ্ট্রে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর চলতি মাসের ১৮ তারিখ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মহারাষ্ট্রের এক নামী নার্সিংহোমে চিকিৎসার পর ১৯ তারিখ মারা যান রাজু। বাড়ির ছেলের দেহ ফেরাতে তৎপর হয় পরিজনেরা। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ রাজ্য ফেরাতে সক্ষম হয় পরিবার। কিন্তু গ্রামবাসী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, দেহ গ্রামে দাহ করা যাবে না।

দেহ নিয়ে মেদিনীপুর পদ্মাবতী শ্মশান ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিজনেরা। কিন্তু মেদিনীপুরে এসেও বিপাকে পড়তে হয় মৃত রাজুর পরিজনদের। ভিন রাজ্যের দেহ দাহ না করতে দেওয়ার দাবি নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের পরেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় দেহ নিয়ে ফিরে আসতে হয় পরিজনদের।  বাড়ির ছেলের মৃতদেহের সৎকার কি কোন ভাবেই হবে না, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাঁরা।