মুম্বই: বলিউড অভিনেত্রী সোনম কপূরের রোষে পড়লেন মোহন ভাগবত। রবিবার আমদাবাদে সংগঠনের কর্মীদের অনুষ্ঠানে সঙ্ঘের শীর্ষনেতা দাবি করেন, আজকাল শিক্ষিত, স্বচ্ছল, সম্পন্ন পরিবারে ডিভোর্সের ঘটনা বেশি হচ্ছে, কেননা শিক্ষা, স্বাচ্ছন্দ্য মানুষের মধ্যে ঔদ্ধত্য আনে, যার জেরে পরিবার ভেঙে টুকরো, টুকরো হয়ে যাচ্ছে! ভাগবতের অভিমতের তীব্র বিরোধিতা করেছেন সোনম। সঙ্ঘ প্রধানের বক্তব্য নিয়ে একটি ওয়েবসাইট প্রকাশিত প্রতিবেদন সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিনি নিজের টাইমলাইনে লিখেছেন, কোন সুস্থ পুরুষ এমন কথা বলবেন? এ তো সেকেলে কথা, মূর্খের মতো।


আরএসএসের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে ভাগবতকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ইদানীং ডিভোর্সের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। লোকে তুচ্ছ কারণে ঝগড়া করছে, লড়ছে। আর ডিভোর্স বেশি হচ্ছে শিক্ষিত, স্বচ্ছল ঘরেই কেননা শিক্ষা, স্বাচ্ছন্দ্য থেকে আসে ঔদ্ধত্য, যার ফলে পরিবার ভাঙছে। সমাজও ভাঙছে কারণ সে-ও একটা পরিবার।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, স্বয়মসেবকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্ঘে নিজেদের কার্যকলাপের কথা বলুন। কেননা অনেক সময়ে ঘরের মেয়েদের আমাদের তুলনায় বেশি কষ্টকর কাজ করতে হয় যাতে আমরা যা করছি, সেটা করতে পারি, এটা নিশ্চিত হয়।
বর্তমানে সমাজে যে চেহারা দেখা যাচ্ছে, তা মেয়েদের ঘরে আবদ্ধ রাখার ফল বলেও মনে করেন ভাগবত। তিনি বলেন, সমাজের এখনকার এই চেহারা হয়েছে গত ২ হাজার বছর ধরে পালিত হওয়া রীতিনিয়মের জন্য। মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। দু হাজার বছর আগে তা ছিল না। ওটা ছিল আমাদের সমাজের স্বর্ণযুগ। হিন্দু সমাজকে সংগঠিত, ধর্মে অনুগত হবে। আর যখন আমরা সমাজ বলি, তখন শুধু পুরুষকে বোঝায় না। একটা সমাজ বলি তাকেই যা নিজের পরিচয় পায় একাত্মতা বোধ থেকে। আমি হিন্দু। সব ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানগুলির প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু নিজের শ্রদ্ধার জায়গার প্রতি আমার অনুরাগ দৃঢ়। আমি আমার পরিবার থেকে সংস্কার পেয়েছি, এবং সেটা মাতৃশক্তি, যা আমাদের এটাই শেখায়। পরিবার-ঘর বাদ দিয়ে কোনও সমাজ হয় না এবং মহিলাদের, যারা সমাজের অর্ধেক, আরও বেশি আলোকপ্রাপ্ত হতে হবে। কিন্তু সমাজের কথা তোয়াক্কা না করলে আমরা, আমাদের পরিবার, কেউই বাঁচবে না। তিনি বলেন, ভারতে হিন্দু সমাজ ছাড়া আর কোনও পথ নেই আর হিন্দু সমাজকেও পরিবার হিসাবে চলতে হবে, তার বাইরে কিছু হতে পারে না।