নয়াদিল্লি : ভোটের ফলে কার্যত ভরাডুবি। ঠিক কোথায় গলদ, তা খুঁজতে নেমে এবার কি খোলনলচে বদলের দিকে এগোচ্ছে কংগ্রেস। শীর্ষনেতৃত্বের পদক্ষেপে ইঙ্গিত তেমনই।  উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুর যে রাজ্যগুলিতে সদ্য বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election 2022)হয়েছে, সেই পাঁচ রাজ্যের প্রদেশ সভাপতিদের (PCC Presidents) ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi)। এমনটাই জানিয়েছেন হাত শিবিরের মুখপত্র তথা সিনিয়র নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা (Randeep Surjewala)। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি তেমনটাই জানিয়েছেন।


রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেছেন, 'উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরের প্রদেশ সভাপতিদের ইস্তফা দিতে বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। পার্টিকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।' প্রসঙ্গত, দলের ক্ষমতার কেন্দ্রস্থল গাঁধী পরিবার সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও তাঁদের ওপরই ফের আস্থা রেখেছে কংগ্রেস। সদ্য কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সনিয়া নিজে ও রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রার সরে যাওয়ার প্রস্তাব রাখেন বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু প্রায় এক সুরে সবাই তা নাকচ করে গাঁধী পরিবারের ওপরই আস্থা রেখেছে। 






ভোটের ফলাফলের দিনই কংগ্রেসের শোচনীয় ফলে 'পরিবারতন্ত্র' প্রসঙ্গ টেনে তা ভারতীয় রাজনীতিতে শেষের পথে বলেই খোঁচা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যার পরই হয়েছিল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক (Congress Working Comitee Meet)। উল্লেখ্য, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রাকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশের ভোটে ঝাঁপালেও কংগ্রেসের সেখানে ফল অত্যন্ত শোচনীয়। আসন কমলেও বিজেপি ধরে রেখেছে ক্ষমতা। আর মূল বিরোধী হিসেবে উঠে এসেছে সমাজবাদী পার্টি (SP)। তাঁদের হাতে থাকা পঞ্জাবও খুইয়েছে কংগ্রেস। সেখানে চমক দিয়ে সরকার গড়েছে আম আদমী পার্টি (AAP)। 


দলের শীর্ষস্তরের নেতৃত্বে রদবদল স্থগিত হয়ে গেলেও বিভিন্ন রাজ্যস্তরের নেতৃত্ব বদলে কি কংগ্রেসের সুদিন ফিরবে? নাকি ফের একবার জনসমক্ষে এসে পড়বে হাত শিবিরের আড়াআড়ি বিভাজনের ছবি। আপাতত সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবে সময়। তবে বাইশের সেমিফাইনালে মুখ থুবড়ে পড়ে চব্বিশের ফাইনালে তথা লোকসভায় কি আদৌ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কংগ্রেস?


আরও পড়ুন- ইস্তফা দিতে চাইলেও, রাজি নয় দল, সেই সনিয়ার নেতৃত্বেই আস্থা কংগ্রেসের