নয়াদিল্লি: লকডাউনে ভারত দেখেছে তাঁর দরদী, মানবিক মন, উদারমনস্কতা। সোনু সুদের এই চেহারা প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও ঘটনার মধ্য দিয়ে সামনে আসছে। এবার তিনি পাশে দাঁড়ালেন ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তারের বিজাপুরের এক আদিবাসী মেয়ের। গত পাঁচদিনের অবিশ্রান্ত বর্ষণে অঞ্জলি কুদিয়াম নামে মেয়েটির বাড়িঘর, বইপত্র সব ভেসে গিয়েছে। সহায়সম্বলহীন আশ্রয় হারানো মেয়েটির কান্নার একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন মুকেশ চন্দ্রকার নামে এক স্থানীয় সাংবাদিক। সেটি নজরে পড়তেই সোনু কোমালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তিনি ট্যুইটে অঞ্জলিকে ভরসা দিয়ে লেখেন, আসু পোছ লে বহেন, কিতাবে ভি নয়ি হোঙ্গি, ঘর ভি নয়া হোগা (চোখের জল মুছে ফেলো বোন, তোমার নতুন বই, নতুন ঘর-দুটোই হবে)।



অঞ্জলির বাবা পেশায় কৃষক, ৫ একর জমি আছে তাঁর, কিন্তু সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণে পুরো ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের খবর। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও অঞ্জলির পরিবারের বিপদের কথা জেনে তাঁদের সাহায্য করতে বলেছেন স্থানীয় প্রশাসনিক অফিসারদের। বুধবার কালেক্টর রীতেশ অগ্রবাল ও স্থানীয় বিধায়ক বিক্রম মান্ডবি অঞ্জলিকে ১.১ লাখ টাকার চেক দেন নতুন বাড়ি বানানোর জন্য। জেলা প্রশাসনও তার বইপত্র কিনে দেবে যাতে সে নার্সিং কলেজে ভর্তির পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিতে পারে।
বিজাপুর, সুকমা সহ দক্ষিণ বস্তারের জেলাগুলির গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একজন মারা গিয়েছেন, ১২০টি বাড়ি মাটিতে মিশে গিয়েছে, প্রায় ২০০ গ্রাম জেলার সদর কার্যালয় থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। জেলা প্রশাসন কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে ফেলেছে।