নয়াদিল্লি : গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) হত্যার পর সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে পদক্ষেপ কেন্দ্রের। প্রয়াগরাজে (Prayagraj) তিন আততায়ী সাংবাদিক সেজে এসে আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে গুলি করে খুন করে । এরপরই সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য SOP বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।


সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র গাইডেন্সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত SOP ঠিক করবে। শনিবার রাতে তিন আততায়ী সাংবাদিক সেজে এসে আতিক ও তাঁর ভাই আশরফকে গুলি করে খুন করে। তার পরেই এই পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দুই ভাই আতিক ও আশরফকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই সময় তাঁদের মেডিক্যাল চেকআপের জন্য স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। 


আতিক-আশরফ খুন


এনকাউন্টারে ছেলে আসাদের পর, গতকাল পুলিশের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়, গুলি করে খুন করা হয় উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ
পুলিশ। সাসপেন্ড করা হয়েছে ধৃত আতিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৭ জন পুলিশ কর্মীকে। গ্যাংস্টার খুনের পর, গোটা উত্তরপ্রদেশজুড়েই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। 


সমাজবাদী পার্টির ৫ বারের বিধায়ক ছিলেন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির সাংসদও হন। মাফিয়া থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা আতিক ২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পালকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজু খুনের সাক্ষী উমেশ পালের খুনেও নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ছেলে আসাদের। 


আতিকের বিরুদ্ধে একশোটিরও বেশি মামলা ছিল। উমেশ খুনে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার আতিকের ছেলে আসাদের মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা। ২ দিন আগে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আসাদের। গতকাল প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময়, পুলিশের ঘেরাটোপে থাকা আতিক আহমেদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জে থেকে গুলি করে খুন করা হয়। গুলিতে মৃত্য়ু হয় আতিকের ভাই আশরফেরও।


আরও পড়ুন ; আতিক-আশরফ খুনের পর প্রয়াগরাজে জারি ১৪৪ ধারা, ১৭ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল যোগী-প্রশাসন