কলকাতা: ভবানীপুর বিধানসভার বিধায়ক পদ ছাড়লেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।আজই পদত্যাগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন তিনি। ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পর শোভনদেব বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভবানীপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই খবর তৃণমূল সূত্রের।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাই ভবানীপুর আসন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে বিধানসভায় নির্বাচিত হতে পারেন, সেই পথ প্রশ্বস্ত করতেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।
এবারের ভোটে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এই সাফল্যের মধ্যেও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বিধানসভায় হেরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ২১৩ আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, ছয়মাসের মধ্যে বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হতে হবে তাঁকে। শোভনদেব ভবানীপুর আসন থেকে ইস্তফা দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনে কোন আসন থেকে লড়বেন, তা নিয়ে জল্পনার অবসান হল বলে মনে করা হচ্ছে।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শোভনদেব বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে এই নজরকাড়া আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। জিতে তিনি এবারও মন্ত্রিসভায় সামিল হয়েছেন। তাঁর হাতে রয়েছে কৃষিমন্ত্রকের দায়িত্ব।
২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসনে প্রার্থী হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকেই জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসন ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করেছিলেন তিনি।
এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ছাড়েন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই নন্দীগ্রামে জনসভায় গিয়ে জমি আন্দোলনের ওই আঁতুড়ঘর থেকে নির্বাচনে লড়াই করার ইচ্ছের কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ওই আসন থেকে লড়াই করার ঘোষণা করে অধিকারীদের গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। এই আসনেরই তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন শুভেন্দু। শেষপর্যন্ত ওই আসনে শুভেন্দু অধিকারীই জয়ী হন।