নয়াদিল্লি: করোনা আবহে প্রকট হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তথা মিউকরমাইকোসিস। একাধিক রাজ্য অভিযোগ করেছে এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ অপ্রতুল। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধ আমদানির নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, বিশ্বের যে প্রান্তে এই ওষুধ সরবরাহ রয়েছে, সেখান থেকে ওষুধ আনার ব্যবস্থা করুক সরকার।
করোনার জেরে প্রতিদিন দেশজুড়ে মৃত্যু হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতি দিল্লি হাইকোর্ট এদিন বলে, আরও অনেক প্রাণকে হারানোর আগে ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। অবিলম্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিপীন সঙ্ঘী, জসমিত সিংহের বেঞ্চকে কেন্দ্র এদিনে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে কেন্দ্র ওষুধ আমদানি শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ছত্রাক সংক্রমণের জেরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস তথা মিউকরমাইকোসিস রোগ হয়। গত কয়েকদিনে দেখা গিয়েছে মূলত করোনা আক্রান্ত রোগী বা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, দ্রুত সরবরাহের জন্য ১১ ওষুধের সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আদালত কেন্দ্রেকে নির্দেশ দিয়েছে ওষুধ আমদানির জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানাতে হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৯ মে অর্থাৎ বুধবারের হিসেব অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৫১ জন। তার মধ্যে ২০০ জন দিল্লির বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে রাজস্থান, তেলঙ্গানার। মুম্বইয়ে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাতেও আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অসুস্থতাকে মহামারী হিসেবেই চিহ্নিত করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ছত্রাক-রোগ মিউকরমাইকোসিস। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কবলে এখনও পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ পার। এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়িয়ে সম্প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইনডোরের এমওয়াইএইচ হাসপাতালে। সেখানে ১৩ জন রোগী কালো ফাঙ্গাস সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।