নয়াদিল্লি: আর মাত্র কিছুক্ষণ। তারপরেই চাঁদের বুকে আছড়ে পড়তে পারে মহাকাশযান। যদি সেটা হয়, তাহলে চাঁদের (moon) বুকে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও মহাকাশযানের আছড়ে (crash) পড়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটবে। ঘটনার সময় ওই মহাকাশযানের গতি হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ৮৮৫১ কিলোমিটার। যদিও এই ঘটনা পৃথিবী থেকে দেখা যাবে না। কারণ, চাঁদের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় আছড়ে পড়বে মহাকাশযান। সংঘর্ষের অভিঘাতে বিপুল বড় গর্ত (crater) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চাঁদের পৃষ্ঠে। সংঘর্ষের ফলে বিপুল পরিমাণ ধুলো উড়বে, ২০ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছতে পারে ধুলোর মেঘ।


এই ঘটনা একমাত্র দেখা যেতে পারত কোনও উপগ্রহের ক্যামেরায়। কিন্তু নাসার (nasa) লুনার রিকনস্যান্স অরবিটার (Lunar Reconnaissance Orbiter) এমন অবস্থানে রয়েছে যে সেখানে থেকে ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করা সম্ভব নয়। জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। যদিও ঘটনার দিকে নজর রাখার চেষ্টা করছে বিশ্বের সব মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (space agency)। এই সংঘর্ষের ফলে চাঁদের পরিবেশে কোনও পরিবর্তন হবে কিনা সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলির তরফে। 


কিন্তু ওই মহাকাশযান কোথা থেকে এল? প্রথমে সন্দেহ করা হয়েছিস স্পেস-এক্স রকেটের এই অংশ এটি। পরে সন্দেহ করা হয়েছে ২০১৪ সালে চিনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উৎক্ষেপণ করা রকেটের অংশ এটি। যদিও এই দাবি সরাসরি নাকচ করেছে চিন। ফলে আদতে এই মহাকাশযানটি কাদের? কীভাবে এসেছে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। খারাপ হয়ে যাওয়া মহাকাশযান বা রকেট, কোনও মহাকাশযান থেকে ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া অংশ ঘুরে বেরাচ্ছে মহাকাশে। যেগুলি স্পেস জাঙ্ক (space junk) বলে থাকেন বিজ্ঞানীরা। সেগুলির জন্য মহাকাশ গবেষণার সময় বিপদের আশঙ্কাও করে থাকেন অনেক বিজ্ঞানী। যে মহাকাশযানটি চাঁদে আছড়ে পড়তে চলেছে, সেটিও আদতে স্পেস জাঙ্ক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ। 


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর আগে চাঁদের জমিতে কোনও কোনও মহাকাশযান নামানোর সময় ক্র্যাশ করানো হয়েছে। অথবা চাঁদে নামার সময় কোনও সমস্যার জন্য আছড়ে পড়েছে মহাকাশযান, এমনও হয়েছে। কিন্তু, চাঁদের বুকে এভাবে কোনও রকেটের অংশ আছড়ে পড়ার ঘটনা এই প্রথম।


আরও পড়ুন: 'ফুল হয়ে নয় ফুটব তখন', মঙ্গলের বুকে একটুকরো প্রকৃতি, নাকি শুধুই খেলা! ছবি ঘিরে শোরগোল