নয়াদিল্লি: ইট-পাথর জড়ো করতে নেমে মঙ্গলে (Mars Photos) ‘ফুল’-এর সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। তবে গাছের সবুজ ডালে ফুটে থাকা নয়, ধূ ধূ পাথুরে জমির বুক ফুঁড়ে উঠে আসা ‘ফুল’। ধুলোবালি না লেগে থাকলে, যাকে দেখে পুকুরে ফুটে থাকা পাতলা পাপড়ির শালুক বলে ভ্রম হতে পারে। আর এই ‘ফুল’ই শোরগোল ফেলে দিয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে।


মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (NASA) পাঠানো কিউরিওসিটি রোভারের (Curiosity Rover)ক্যামেরায় ওই ‘ফুল’-এর ছবি ধরা পড়েছে। এক নজরে গাছের ফুল বলেই ঠাহর হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ওই ‘ফুল’ আসলে পাথুরে ফুল। পুনর্বিন্যাসের পর জলে প্রবাহিত ভিন্ন প্রকারের খনিজ জমে জমে ওই আকার ধারণ করেছে।


নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন খনিজ জমে জমে ফুলের আকার ধারণ করেছে। তিনটি স্তরে বহির্মুখী তিনটি পাপড়ির আকারের স্তরও গড়ে উঠেছে, বৈজ্ঞানিক ভাষায় এই আকারকে ডায়াজেনেটিক সিস্টাল ক্লাস্টার্স বলা হয়। ভিন্ন প্রকারের খনিজ মিলেমিশে তৈরি হয়েছে বলেই ত্রিস্তরীয় আকার পেয়েছে।



আরও পড়ুন: Instagram Update: দৈনিক ন্যূনতম সময়সীমা বাড়ল ইনস্টাগ্রামে, ব্যবসায় ধাক্কা সামলাতেই কি মরিয়া চেষ্টা! জল্পনা তুঙ্গে


তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও মঙ্গল গ্রহে এমন ফুলের আকারের প্রস্তর মিলেছে বলে জানিয়েছেন কিউরিয়োসিটি থেকে পাঠানো তথ্য নিয়ে গবেষণায় নিযুক্ত বিজ্ঞানী অ্যাবিগেইল ফ্রেম্যান। তবে জলে প্রবাহিত খনিজ নয়, এর আগে লবণ জনে তৈরি সালফেট ‘ফুল’ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।



কিন্তু খনিজ এমন ফুলের আকার পেল কী ভাবে, তার যুক্তি দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রথমে একটি পাথরের গায়েই জমতে শুরু করেছিল খনিজ। দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে পাথরটি লুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জমনাট বাঁধা অবস্থায় রয়ে গিয়েছে খনিজ উপাদানগুলি। তাতেই ওই আকার ধারণ করেছে। এর আগে অপারচুনিটি রোভার থেকে ব্লুবেরির মতো দেখতে এমন জমাট বাঁধা খনিজ চোখে পড়ে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI