নয়াদিল্লি: সংসদের বিশেষ অধিবেশন ঘিরে বাড়ছে জল্পনা (Special Parliament Session)। 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি থেকে দেশের নাম শুধুমাত্র ভারত ব্যবহারে বিল আনা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে গুঞ্জন। সরকারের তরফে অধিবেশনের উদ্দেশ্য বা বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি, রাখঢাক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার মধ্যেই সংসদভবনের কর্মীদের নতুন ইউনিফর্ম সামনে এল। (Parliament New Dress Code)


১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। প্রথম দিনের অধিবেশনের পর, দ্বিতীয় দিন থেকে 'সেন্ট্রাল ভিস্তা' প্রকল্পের আওতায় তৈরি নতুন সংসদভবনে অধিবেশন বসবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে সংসদভবনের কর্মীদের জন্য নতুন ইউনিফর্মও তৈরি হয়ে গিয়েছে। সংসদভবনের কর্মীদের পোশাকে ভারতীয় ছোঁয়া আনতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। 


এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, সংসদভবনের কর্মীদের পোশাকের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে নেহরু জ্য়াকেট, খাকি প্যান্ট। লোকসভা সেক্রেট্যারিয়টের কর্মীরা পরবেন সাফারি স্যুট। হাউস অফিসারদের পরনে থাকবে ম্যান্ডারিন কলারের, ক্রিম রংয়ের ছাপা শার্ট, যার উপর গোলাপি রংয়ের পদ্ম আঁকা থাকবে। সংসদের উচ্চ এবং নিম্নকক্ষের মার্শালদের মাথায় থাকবে মণিপুরের পাগড়ি। সংসদভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের পরনে সাফারি স্যুটের পরিবর্তে থাকবে সেনার মতো জংলি পোশাক। আমলারা এতদিন বন্ধগলা স্যুট পরলেও, এবার গাঢ় গোলাপি রংয়ের নেহরু জ্যাকেট এবং ক্রিম রংয়ের শার্ট পরবেন। 


আরও পড়ুন: Harsh Goenka: এই বেতন কি কাম্য? ISRO বিজ্ঞানীদের ন্যায্য পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব গোয়েঙ্কা


সংসদভবনের কর্মীদের জন্য এই নয়া পোশাক তৈরি করেছে ন্য়াশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি। তবে সংসদভবনের কর্মীদের পোশাক পরিবর্তন নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। লোকসভায় কংগ্রেসের হুইপ মানিকম ঠাকুর পোশাকে পদ্ম রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দেশের জাতীয় পাখি ময়ূর বা জাতীয় পশুর বাঘের পরিবর্তে বেছে বেছে কেন জাতীয় ফুল পদ্ম, যা কিনা বিজেপি-র প্রতীকচিহ্ন, সেটিকেই রেখা হল, প্রশ্ন তুলেছেন। সংসদভবনকেও বিজেপি একতরফা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।


দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর পুরনো সংসদভবনেই অধিবেশন শুরু হবে। পর দিন গণেশ চতুর্থী রয়েছে। ওই দিন নতুন সংসদ ভবনে স্থানান্তরিত হবে অধিবেশন। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে পুজোর আয়োজনও হবে বলে খবর। গত ৩১ অগাস্ট পাঁচ দিনের এই বিশেষ অধিবেশনের কথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।


সাধারণত বাজেট, বাদল এবং শীতকালীন অধিবেশন হয় সংসদে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে এই বিশেষ অধিবেশনের উদ্দেশ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি, বিষয়বস্তু সম্পর্কেও কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। তবে আসন্ন বিশেষ অধিবেশনে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করা এবং দেশের নাম পরিবর্তনের বিল আনা হতে পারে বলে জল্পনা জোর পেয়েছে। বিজেপি-র নেতা-মন্ত্রীরা তার প্রচারেও নেমে পড়েছেন।