কলকাতা: এই ছবিতে তাঁর বাজি নতুন মুখেরা। ছবির প্রধান ৪ মুখের মধ্যে ৩ জনেরই প্রথম ছবি এটি। অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, শ্রুতি দাস ও মধুরিমা বসাক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই পা রাখছেন রুপোলি পর্দায়। এই তিন নায়ক নায়িকাকে কীভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন সৃজিত? এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৃজিত শোনালেন, কী করে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন এই নতুন মুখেদের?
৩ জনের কেউই ছবি করেননি কখনও। ইন্ডাস্ট্রিতে তেমন পরিচিত মুখও নন। তাঁদের খোঁজ কী করে পেয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির পরিচালক? সৃজিত বলছেন, 'অনেকই আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁদের আমি বলি, চরিত্র এলে ডেকে পাঠাব। অনেকেই বিশ্বাস করেন না। ভাবেন আমি পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য কথাটা বলছি। কিন্তু আসলে তা নয়। আমার হাতে সেইসময় হয়তো তেমন কোনও চিত্রনাট্য নেই। আমার মাথায় সত্যিই থাকে আর প্রয়োজন মতো চরিত্র পেয়ে তাঁদের আমি ডাকি। যেমন করে ডেকেছিলাম অনিন্দ্য সেনগুপ্ত (Anindya Sengupta), শ্রুতি দাস (Shruti Das) ও মধুরিমা বসাককে (Madhurima Basak)।'
আরও পড়ুন: Srijit Mukherjee Exclusive: 'আমার ছিল ক্যান্টিন অনার্স, পাস সাবজেক্ট ক্রিকেট'
তিনজনের খোঁজ তিন জায়গা থেকে পেয়েছিলেন সৃজিত। অভিনেতা বলছেন, 'অনিন্দ্য সেনগুপ্তের সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ একটা সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে। একটা ছবির জন্য ও এসেছিল আমার সাক্ষাৎকার নিতে। তখনই আমার ওকে দেখে পছন্দ হয়। সেইসময়েই ওকে প্রশ্ন করেছিলাম অভিনয়ে ও আগ্রহ আছে কী না? যখন চিত্রনাট্য লিখছি, মনে হয়েছিল খিলাৎ-এর চরিত্রটার জন্য অনিন্দ্যকে দারুণ মানাবে। শ্রুতির গল্পটা অবশ্য একদম আলাদা। আমার এক বন্ধুর সূত্র ধরে দেখা করতে এসেছিল শ্রুতি। বছর ৬ আগে। এই ছবিটার জন্য বছর ৬ বাদে ওকে আবার ফোন করি। আর মধুরিমাকে পছন্দ হয়েছিল একটা গয়না বিপণী সংস্থার বিজ্ঞাপন থেকে। ছবি দেখে মনে হয়েছিল ওর মুখের মধ্যেই একটা ব্যক্তিত্ব রয়েছে। ওই বিপণী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি মধুরিমা একটি ধারাবাহিকেও অভিনয় করছে। অর্থাৎ ও অভিনয়টা জানে। ব্যাস.. আমার খিলাৎ,জয়ী আর অদিতিকে পেয়ে গেলাম।'