হাওড়া: কলকাতার পর হাওড়া। খন্নার কাছে অটো-দুর্ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। অটোচালকরা যে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নন, তা ফের সামনে চলে এল শনিবার। এবার উলুবেড়িয়ায় বেপরোয়া অটো-দৌরাত্ম্যের বলি হল দশ বছরের ফুটফুটে বালক ভানু দাস।

এদিন বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল ভানু। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন বন্ধুর বাবা-মা-ও। তাঁদের দাবি, চালক শুরু থেকেই বেপরোয়া গতিতে অটো ছোটাচ্ছিলেন। উলুবেড়িয়ার জয়নগর পশ্চিমপাড়ার কাছে একটি মোড় ঘুরতে গিয়ে অটোটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ক্লাস ফোরের পড়ুয়া ভানুর। তার বন্ধুদের কারও মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। কারও ঠোঁট কেটে যায়। গুরুতর জখম হব অভিভাবকরাও।

আহতদের সঙ্গে সঙ্গে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ অটোটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে।

শনিবার স্কুল ছুটি ছিল। ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে যাবে বলে বায়না ধরায় বলে রাজি হয়েছিলেন ভানুর বাবা-মা। স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, তাকে আর কখনও দেখতেই পাবেন না। যেমন ভাবতে পারেননি বেলেঘাটার পূজা পালের বাবা-মা। রোজকার মতোই শুক্রবার সকালে অটোয় করে কলেজ যাচ্ছিলেন পূজা। গৌরীবাড়ি মোড়ে সিগন্যাল ভেঙে এগোতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় অটোটি। সজোরে ধাক্কা মারে বাসের পিছনের দরজার পাশে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন পূজা। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে পূজাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এই ঘটনার পর শনিবার গৌরীবাড়ি মোড়ে বেপরোয়া অটো ধরতে তৎপর হয়ে ওঠেন উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা। অত্যধিক যাত্রী সহ অটো দেখলে বা কোনও অটোকে সিগন্যাল ভাঙতে দেখলেই আটকানো হচ্ছে তাকে। রুজু হচ্ছে মামলা।

কিন্তু, অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এই ধরপাকড় অভিযান লাগাতার চলবে তো? নাকি ক’দিন গেলেই আবার সব যেমন চলছিল, তেমনই চলবে?