কলকাতা: ‘খেলা একটা হয়েছে, আবার হবে। বিজেপিকে যতদিন না দেশ থেকে তাড়াচ্ছি, রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। ১৬ অগাস্ট রাজ্যে খেলা দিবস পালিত হবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
এদিন বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় আমাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি। এটাই কি গণতন্ত্র? সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। ২০২৪-এ কী হবে জানি না, তবে আগেভাগে পরিকল্পনা করতে হবে। ওরা নৃশংস, শান্তিতে কাউকে বাঁচতে দেবে না। আমি চিদম্বরমকে ফোন করতে পারি না, ফোনে আড়ি পাতা হয়। আমাকে ফোনের ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগাতে হচ্ছে। রান্নার গ্যাসের দাম ৪৭ বার বেড়েছে। প্রায় পৌনে চার লক্ষ কোটি টাকা খোয়া গিয়েছে গৃহস্থর। বিজেপি সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় অধিকার, বিচারব্যবস্থাকে শেষ করছে। গোটা দেশে গোয়েন্দাগিরি চলছে। নিজেদের স্বার্থ ভুলে আমাদের সবাইকে এককাট্টা হতে হবে। কোভিডে কেউ মারা গেলে উত্তরপ্রদেশে নদীতে দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তার উপর প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন! ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হলে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আসত না। সব নেতাদের বলছি, ফ্রন্ট তৈরি করুন। পরের সপ্তাহে দু’তিনদিনের জন্য দিল্লি যাব। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করব। শরদ পাওয়ারদের অনুরোধ, দিল্লিতে বৈঠকের আয়োজন করুন। সেই বৈঠকে আমিও থাকব, আলোচনা হোক।’
বিজেপি-কে আক্রমণ করে মমতা আরও বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামও সিলেবাস থেকে বাদ দিয়েছে। করোনার থেকেও বড় ভাইরাস বিজেপি। দেশে গুলি আর গালির রাজনীতি চলছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের অনুরোধ। ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নিন। আজ গণতন্ত্র বাঁচাতে পারে বিচারব্যবস্থা। বিজেপি মানবিক অধিকার কাকে বলে জানে না। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও কোনও পরিকল্পনা নেই বিজেপির। বাজার থেকে আমরা ভ্যাকসিন কিনতে পারছি না। এভাবে ভ্যাকসিন দিলে কত বছরে শেষ হবে কে জানে! শ্রমিক বা অন্যান্যকে গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপি শুধু দলকে গুরুত্ব দেয়। জনগণের জন্য কাজ করলেই, আপনারা তাঁকে বাধা দেন। আমাদের ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে দেশজুড়ে নিখরচায় রেশন-চিকিৎসা। পুরো দেশে এখন বেকারত্ব-হিংসার জেরে হতাশা। আমরা নতুন সরকারের নামে নতুন আলো আনব।’