সন্দীপ সমাদ্দার, বান্দোয়ান (পুরুলিয়া): জালিয়াতি ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। তার মধ্যেই চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যক্তি। 


ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুরুলিয়া জেলা আদালত। গ্রেফতার সুনীল প্রামাণিক ও গণেশ সিংহ দুজনেই বান্দোয়ানের ধাদকা গ্রামের বাসিন্দা। 


অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা। প্রত্যেকের কাছ থেকে নিয়েছেন  ১ লক্ষ ৯৫ হাজার করে টাকা।


যদিও দুই অভিযুক্তই দাবি করেছে, চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তাঁরা নেননি। তাঁদের ব্যবহার করে অন্য কয়েকজন এই কাজ করেছে। 


ধৃত গণেশ সিংহ বলেন, নবীন সিংহ আমার জামাইবাবু। আমার পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহার করেছেন। ওনার বাড়ি তুনতুরি গ্রামে। উনি প্রাইমারির শিক্ষক। আমি টাকা নিইনি। আমাকে ব্যবহার করেছেন। আটজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম।


অপর ধৃত সুনীল প্রামাণিকের দাবি, তিনি কোনও টাকা নেননি। বলেন, আমি ওর সঙ্গে ছিলাম। ডামি পেপার দিয়েছিল। তাতে সাক্ষী ছিলাম।


মঙ্গলবারই ধাদকা গ্রামে গণেশ ও সুনীলের ওপর চড়াও হন বেশ কয়েকজন। ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখা হয় দুজনকে। বান্দোয়ান থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। প্রতারণাচক্রে আর কারা জড়িত, তা জানতে ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ। 


এদিকে, কলকাতা পুরসভার কমিশনারের সই জাল করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগে  কলকাতা পুরসভার কর্মী-সহ পুলিশের জালে ৩। সোমবার রাতে পুরসভার কর্মী রাজীব মল্লিককে গ্রেফতার করে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। তাঁকে জেরা করে খোঁজ মেলে দুই সহযোগীর। 


পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে একজন কলকাতা পুরসভার নকল স্ট্যাম্প তৈরির সঙ্গে যুক্ত, আরেকজনের কাছ থেকে মিলেছে পুরসভার জাল নথি। পুর কর্মী রাজীব মল্লিক-সহ ৩ জনের সঙ্গে ভ্যাকসিন-প্রতারণাকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


পাশাপাশি, এদিনই কলকাতায় গ্রেফতার আরও এক ভুয়ো সরকারি আধিকারিক। বাজেয়াপ্ত নীল বাতি লাগানো গাড়ি, ভিআইপি স্টিকার। 


পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার কলিন্স স্ট্রিটের বাসিন্দা ধৃত আসিফুল হক নামে বছর ছাব্বিশের ওই যুবক নিজেকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স অফিসার বলে পরিচয় দিতেন। 


ধৃত কোনও প্রতারণাচক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।