ঘটনাস্থল মহম্মদবাজারের ভোলাবাঁধ গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে দাবি, স্বামীর মৃত্যুর পর আদিবাসী সমাজের বাইরে এক ব্যক্তির সঙ্গে মহিলা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন গ্রামের মাতব্বররা। গত মঙ্গলবার কয়েকজন যুবক দুজনকে মারতে মারতে স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে সালিশি সভা ডেকে ওই মহিলা ও যুবককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। যুবক ৫০ হাজার টাকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, আদিবাসী মহিলা ১০ হাজার টাকার বেশি দিতে পারেননি।
অভিযোগ, এরপরই মহিলাকে ক্লাব সংলগ্ন জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করে। শনিবার মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। এরপরই জলপা হাঁসদা ও কাটিজ হাঁসদা নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিউড়ি আদালত। নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলা ও এক যুবককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রামের মোড়ল। এরপর অভিযুক্ত মোড়লকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পলাতক বাকি ৩ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।