বনগাঁ: দেশদ্রোহিতার অপরাধে লস্কর ই তৈবার ৩ জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা দিল বনগাঁ আদালত। তাদের নাম মহম্মদ ইউনিস, মহম্মদ আবদুল্লা ও মুজফফর আহমেদ রাঠৌর। এদের মধ্যে ইউনিস ও আবদুল্লা পাকিস্তানের নাগরিক। ইউনিস আবার ছিল লস্করের আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য। মুজফফর কাশ্মীরের নাগরিক।
২০০৭ সালে পেট্রাপোল সীমান্তে ধরা পড়ে ৪ জঙ্গি। তারা করাচি থেকে ঢাকা হয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টায় ছিল। তাদের মধ্যে দু জন ভারতীয় ও দু জন পাকিস্তানি ছিল। তাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্তশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। মুম্বই যাওয়ার সময় ছত্তীসগঢ়ে ট্রেন থেকে পালিয়ে যায় চতুর্থ জঙ্গি শেখ শামির। সে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ধরা পড়ে যাওয়ায় তাদের ভারতে নাশকতার ছক বানচাল হয়ে যায়। এতদিন বিচার চলার পর তিন জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফ গ্রেফতার করে এই চার জঙ্গিকে। তাদের তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। জেরায় জানা যায়, চারজনই পাকিস্তানের করাচিতে লস্কর-ই-তৈবার ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেয়। পরে কাশ্মীরের সেনা ছাউনিতে নাশকতামূলক হামলার পরিকল্পনা নিয়ে করাচি থেকে বাংলাদেশে যায়। বাংলাদেশের একটি হোটেলে বসে তৈরি হয় নাশকতার ব্লু-প্লিন্ট। বাংলাদেশ থেকে ভারতের ঢোকার চেষ্টা কররার সময় ধরা পড়ে চারজনই।
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতায় উদ্ধার হয় বিস্ফোরক।কিন্তু মহারাষ্ট্রের এক মামলায় আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ছত্তিশগড়ের রায়পুরের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে পালিয়ে যায় শেখ সামির। তখন থেকেই ফেরার সে।
এদিন সাজা ঘোষণার আগে তিন জঙ্গির সঙ্গে কথা বলেন বিচারক বিনয়কুমার পাঠক। তারপর দেশদ্রোহিতার দায়ে চরম সাজা শোনান তিনি।
২০০৭ সালে পেট্রাপোল সীমান্তে ধৃত ৩ লস্কর জঙ্গির ফাঁসির সাজা বনগাঁ আদালতের
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
21 Jan 2017 03:43 PM (IST)
NEXT
PREV
রাজ্য (states) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -