সোদপুর: ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যুতে ধুন্ধুমান সোদপুর স্টেশন চত্বরে। আড়াই ঘণ্টারও বেশি দেহ আটকে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অবরোধ। ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত শিয়ালদা মেইন শাখায়, তীব্র যানজট বিটি রোডে। চূড়ান্ত দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের।
ঘটনার সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ। সকালে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নিউ কলোনির বাসিন্দা দিলীপ দত্ত নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। পার হচ্ছিলেন ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশের লাইন। সে সময় ওই লাইন দিয়ে দ্রুত গতিতে আসছিল আপ গ্যালপিং কৃষ্ণনগর লোকাল। সরে যাওয়ার সময় পাননি বৃদ্ধ। ট্রেনে ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন স্টেশনে যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহ আটকে শুরু হয় রেল অবরোধ। ভাঙচুর করা হয় স্টেশন মাস্টারের কেবিন, টিকিট কাউন্টার। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ঘটনার জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে বিভিন্ন লোকাল ট্রেন। বিপর্যস্ত হয় শিয়ালদা মেই শাখার ট্রেন চলালচল।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, অবরোধের জেরে শিয়ালদা থেকে বাতিল করতে হয় ৯ জোড়া লোকাল ট্রেন। বিঘ্নিত হয় ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেস, ডাউন আসানসোল-শিয়ালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ও আপ আজমেঢ় এক্সপ্রেস। কাজের দিনে বেশ কয়েক ঘণ্টা চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।
অভিযোগ উঠেছে, ট্রেন আসার কথা মাইকে ঘোষণাই করা হয়নি। যার জেরেই এদিনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও রেলের দাবি, ঘোষণা করা হয়েছিল।
তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে বিটি রোডে। সকাল ১১টা নাগাদ এলাকায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন রেলের পদস্থ কর্তারা। কথা বলেন, অবরোধকারী ও মৃতের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে। এরপর বেলা সোয়া ১২টা নাগাদ রেল লাইন থেকে সরানো দয় বৃদ্ধের দেহ।
আড়াই ঘণ্টারও বেশি সাধারণ মানুষকে চূড়ান্ত দুর্ভোগ দেওয়ার পর বেলা ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ উঠে যায় অবরোধ। দুপুর ১২টা ৪৫ থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে ট্রেন চলাচল।