কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে আরএসএস ভাবধারার স্কুলের সংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই? এমনই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করল রাজ্য প্রশাসন।
সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির একটি স্কুল চত্বরে হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা বজরং দলের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সূত্রে পাওয়া সেই ছবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরএসএস ভাবধারায় পঠনপাঠন কি বাড়ছে? বিতর্ক উসকে দিয়েছে বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য। বিধানসভায় নিজের ঘরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্কুলের উগ্র ধর্মান্ধতা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি সূত্রে দাবি, আরএসএস ভাবধারায় চালিত হচ্ছে বলে রাজ্যের ৪৯৩টি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ১২৫টি স্কুলের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেই। রাজ্যের ১০টি জেলার মধ্যে দুই দিনাজপুরেই রয়েছে এরকম ৯৩টি স্কুল। এমন ১২৫টি স্কুল চালানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। ৪৯৩টি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জরে রাখছি। বিদ্যালয়ের মধ্যে ধর্মমান্তরণের উত্স খুঁজে দেখব।
আরএসএস ভাবধারায় লালিত স্কুলগুলির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য তৃণমূল সরকারকেই দুষছে বিরোধীরা। সুজন চক্রবর্তী বলেন, অনুমোদন দেওয়া তো বনধ হয়নি। সরকারই অনুমোদন দিচ্ছে। বিজেপির দাবি, নির্দিষ্ট আইন মেনেই দেশজুড়ে চলছে আরএসএস-এর স্কুল। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, দেশজুড়ে আরএসএস-এর স্কুল চলে। নির্দিষ্ট আইন মেনে স্কুল চলে। দেশপ্রেমী তৈরি হয়। প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে মানুষ ভাল চোখে দেখবে না।
একদিকে, আরএসএস ভাবধারায় লালিত স্কুলের সংখ্যা নিয়ে যখন রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে, তখন সর্বশিক্ষা অভিযানের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে রাজ্য। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যা বরাদ্দ করা হচ্ছে বাজেটে তার ৩০ শতাংশ হাতে পাচ্ছে রাজ্য। এনিয়ে মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রককে চিঠি লেখার কথাও ভাবছে রাজ্য।