হুগলি: বহরমপুর থেকে কলকাতা ফেরার পথে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথা, ঘাড় ও পায়ে গুরুতর আঘাত তৃণমূল সাংসদের। ভর্তি বেলভিউ নার্সিংহোমে। অভিষেকের গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, চালককে কেউ কি কিছু খাইয়ে দিয়েছিল? ডিজিকে প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ। ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাত? উঠছে প্রশ্ন।

মঙ্গলবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে সিঙ্গুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিষেকের গাড়ির আগে ও পিছনে একটি করে পাইলট কার ছিল। ওই তিনটি গাড়ির সামনে, খারাপ হয়ে যাওয়ায় দুধের গাড়িকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল একটি ক্রেন। ওভারটেক করতে গিয়ে ক্রেনটিতে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় প্রথম পাইলট কার। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাইলট কারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় অভিষেকের গাড়িও।

মাথা, ঘাড়, চোখ ও পায়ে চোট পান ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক ছাড়াও গাড়িতে ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব সহ কয়েকজন। আহত হন তাঁরাও। পিছনে আসা একটি গাড়ি থামিয়ে দ্রুত বেলভিউ নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় অভিষেককে। করা হয় সিটি স্ক্য্যান ও এক্স-রে।

সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পরই রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিত্‍ কর পুরকায়স্থ ফোনে খবর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিছুক্ষণ পর, ডিজিকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি জানতে পেরেছি, অভিষেকের গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। চালককে কেউ কিছু খাইয়ে দিয়েছিল কি? কোনও অন্তর্ঘাত আছে কি না দেখুন।

এরপরই দুর্ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। তদন্তভার পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সিআইডি। মঙ্গলবার রাতেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে সংগ্রহ করে নমুনা। নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিষেক মাথায় চোট পেয়েছে। হাড় ভেঙেছে। ১৯-২০টা সেলাই হতে পারে। ওর সঙ্গে দশ জন পুলিশ কর্মী ছিলেন। অভিষেকের বিষয়ে জানতে রাষ্ট্রপতি ফোন করেছিলেন।  রাতে অভিষেককে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠিও।