কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন শেষ। এবার ভোটগ্রহণ। তারপর ফল ঘোষণা। এই প্রেক্ষাপটে কী ভাবছে গ্রাম বাংলার ভোটাররা? মন বোঝার চেষ্টা করেছি আমরা। এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ৮২৫টি আসনের মধ্যে ৫৩২টি আসন পেতে পারে তৃণমূল।
বিজেপি ১৪৪টি


বামেরা ৯০টি

কংগ্রেস ৪৯টি

অন্যান্যের ঝুলিতে যেতে পারে ১০টি আসন

গতবার তৃণমূল ৫৩১টি জেলা পরিষদের আসনে জিতেছিল। এবার সমীক্ষা অনুযায়ী তারা ৫৩২টি আসনে জিতলে, তাদের আসন একটি বাড়বে।
বিজেপি গতবার জেলা পরিষদের একটি আসনেও জিততে পারেনি। এবার শূন্য থেকে একলাফে বেড়ে ১৪৪টি আসন পেতে পারে তারা।
বামেরা ২০১৩ সালে জেলা পরিষদের ২১৩টি আসন পেয়েছিল। এবার তারা পেতে পারে মাত্র ৯০টি আসন। অর্থাৎ ১২৩টি আসনের লোকসান হতে পারে।
কংগ্রেস গতবার ৭৭টি আসন পেয়েছিল। এবার তারা পেতে পারে মাত্র ৪৯টি আসন। অর্থাৎ ২৮টি আসন কমতে পারে তাদের।
অন্যান্যের ঝুলিতে গতবার জেলা পরিষদের ৪টি আসন গিয়েছিল। এবার ৬টি বেড়ে হতে পারে ১০টি আসন।
অর্থাৎ লোকসভা ও বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফলের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই পঞ্চায়েত ভোটেও বাম ও কংগ্রেসের লোকসান বাড়তে পারে এবং তার ফলে পদ্ম শিবিরের বড়সড় লাভের সম্ভাবনা। সমীক্ষায় অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত।

এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী,
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদে তৃণমূল ৩৫% ভোট পেতে পারে।
বিজেপি পেতে পারে ২৪% ভোট।
বামেরা ১৪% ভোট
কংগ্রেস ৮% ভোট
এবং অন্যান্যের ঝুলিতে ২০% ভোট পেতে পারে



গতবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৪% ভোট। সমীক্ষা অনুযায়ী এবার তারা পেতে পারে ৩৫% ভোট। অর্থাৎ পাঁচ বছরে ৯% ভোট কমতে পারে শাসক দলের।
বিজেপি গতবার মাত্র ৩% ভোট পেয়েছিল। সমীক্ষায় ইঙ্গিত এবার একলাফে তাদের ভোট বেড়ে হতে পারে ২৪%। অর্থাৎ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বিজেপির ভোট বাড়তে পারে ২১%।
বামেরা গতবার পেয়েছিল ৩৯% ভোট। এবার তাদের ভোট প্রায় পঁচিশ শতাংশ কমে ১৪%-এ দাঁড়াতে পারে।
কংগ্রেস গতবার ১৩% ভোট পেয়েছিল। সমীক্ষা অনুযায়ী এবার তারা ৮% ভোট পেতে পারে। অর্থাৎ তাদের ভোটও ৫% কমতে পারে।
অন্যান্যের ঝুলিতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১% ভোট গিয়েছিল। এবার তা বেড়ে হতে পারে ২০%



অর্থাৎ, প্রবণতা সেই একই। বাম ও কংগ্রেসের ভোট ক্রমেই বিজেপির দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট এই সমীক্ষায়।