মুর্শিদাবাদ: সাতসকালে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ৪ জন। একটি ট্রাক এসে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় তাঁদের পিক আপ ভ্যানকে। এই দুর্ঘটনায় আরও ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, নদিয়ার রানাঘাট থেকে পিক আপ ভ্যানে চড়ে মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারিতে পিকনিক করতে যাচ্ছিল ১৪-১৫ জনের একটি দল। অন্যদিকে, বেলডাঙা থেকে নদিয়ার দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ভোর সোয়া পাঁচটা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি লেনে এসে দাঁড়ায় ওই পিক আপ ভ্যান। সে সময় পিছন থেকে এসে ট্রাকটি সজোরে ধাক্কা মারে। কুয়াশা তো কারণ বটেই, পাশাপাশি ট্রাকের গতিবেগ বেশি থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ।

বেপরোয়া গাড়ি, মোটর বাইক চালানোর জেরে আহত হওয়ার ঘটনা এ শহরে কম নয়। এমনকী দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গাড়ি চালানোর জেরে রাজ্যে প্রাণহানিও ঘটছে অবিরত। যেমন আলিপুরে গতকাল বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় ২ মোটর বাইক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। গতকাল রাত ১২টা নাগাদ আলিপুরে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, প্রচণ্ড গতিতে এসে একটি ট্রাক ওই মোটর বাইকে ধাক্কা মারে। এতে গুরুতর আহত হন ২ মোটর বাইক আরোহী। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ট্রাক চালককে আটক করেছে পুলিশ।

একইভাবে দিনকয়েক আগে পুরুলিয়ার ঝালদা থানার বানসা গ্রামে পিকনিকে যাওয়ার পথে, একইভাবে দুর্ঘটনায় পড়ে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি। ২৯ ডিসেম্বর ভোর পাঁচটা নাগাদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি পথের ধারের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ায় পিষে মারা যান গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রী। গাড়ি চালক ঘুমিয়ে পড়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা বলে খবর। গাড়ি চালককে গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান।

এর একদিন আগেই পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় থেকে পিকনিক সেরে বাঁকুড়ায় ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান চারজন। রাত ১০টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ছাতনা থানার ভগবানপুরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরুলিয়া থেকে গাড়িতে ফিরছিলেন বাঁকুড়ার বেলিয়া গ্রামের ৮ বাসিন্দা। রাস্তায় তাঁদের গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রেলারের সংঘর্ষ হয়।