খড়গপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): শ্রীনু নায়ডু খুনের ঘটনার চারদিন পর গ্রেফতার অভিযুক্ত জন ফ্রান্সিস। খড়গপুরের কুখ্যাত মাফিয়ার খুনের পরই তড়িঘড়ি অ্যাকশন নিয়েছিল পুলিশ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ৭ জন অভিযুক্তকে। শনিবার পুলিশের জালে জন ফ্রান্সিস। শুক্রবার এই ফ্রান্সিসের নামই উঠে এসেছিল পুলিশের সুপার ভারতী ঘোষের গলায়। তিনি বলেছিলেন, ৮ জানুয়ারি জন ফ্রান্সিসের বাড়িতে বৈঠক হয়। ঠিক হয় শ্রীনুকে মারতে হবে।
পুলিশের দাবি, ফ্রান্সিসের বাড়িতে বৈঠকেই তৈরি হয়েছিল শ্রীনু খুনের চূড়ান্ত ব্লুপ্রিন্ট। এরপর বুধবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে থাকা অবস্থায় খুন হন শ্রীনু।
গ্রেফতারের পরে ফ্রান্সিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য মিলেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি,
শ্রীনু খুনের চক্রান্তের পিছনে এক মাথার কথা জানিয়েছে ফ্রান্সিস। ভিন রাজ্যে খুনের পরিকল্পনায় উপস্থিত ছিল সেই মাথা-ও।
কে এই মাথা? সে কি হেভিওয়েট কেউ? শুক্রবারই খুনের নেপথ্যে এরকমই এক মাথার যুক্ত থাকার ইঙ্গিত দিয়ে ভারতী ঘোষ বলেছিলেন, তদন্তের স্বার্থে কিছু বলছি না, এর পিছনে বড়বড় মাথা আছে। সময় হলে জানতে পারবেন।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, যে মাথার কথা বলা হচ্ছে, শ্রীনু খুনের সময় সে রাজ্যের বাইরে ছিল। শনিবার আদালতে তোলা হলে ফ্রান্সিসকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর আদালতের। শ্রীনু খুনে মূল চক্রী বলে অভিযুক্ত শঙ্কর রাও এবং জন ফ্রান্সিসকে এবার মুখোমুখি জেরা করতে চাইছে পুলিশ। তাহলেই শ্রীনু খুনে যে মাথার যুক্ত থাকার কথা উঠে আসছে, তার ব্যাপারে আরও তথ্য মিলবে বলে আশা তদন্তকারীদের।