নদিয়া:  ৮ দিনের লড়াই শেষ! অকাল-মৃত্যু আরও একটি তাজা প্রাণের। রাজ্যে অ্যাসিড হামলার শিকার আরও এক। বয়স মাত্র ১৭।
বাবা-মায়ের সঙ্গে নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার গাজনা দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা এই কিশোরী। কে জানত, সেই রাতেই তার ওপর নেমে আসবে প্রাণঘাতী হামলা?
ঠাকুর দেখে ফেরার পর এক ঘরে বাবা-মায়ের সঙ্গে শুয়েছিল গাজনা এ বি বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। অভিযোগ, রাত ২টো নাগাদ দরজার ওপরের ফাঁক দিয়ে কিশোরীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে পালায় স্থানীয় বাসিন্দা ইমান আলি মণ্ডল। গুরুতর আহত হয় কিশোরী। আহত হন মা-ও।
কিন্তু কেন এই হামলা?
পরিবারের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল বছর ৩৮-এর ওই ব্যক্তি। প্রত্যাখ্যান করেছিল সে। নবমীর রাতেই গুরুতর আহত কিশোরী ও তার মাকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দশমীর দিন, সেখান থেকে ২জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস-এ। ৮ দিন পর, মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই থেমে গেল ওই ছাত্রীর লড়াই।
গত শুক্রবার অভিযুক্ত ইমান আলি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যাসিড বিক্রেতা নিখিল সাহাকেও। ২ জনকেই ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাসপাতাল থেকে এদিনই বাড়ি ফিরেছেন মা। কিন্তু সে ফেরায় আনন্দ নেই। মেয়েটা যে আর কোনওদিন ফিরবে না!