রাজীব চৌধুরী ও গোপাল চট্টোপাধ্যায়, কান্দি ও রামপুরহাট: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কংগ্রেসের কর্মসূচি। বহরমপুরের কান্দি বাসস্ট্যান্ডের পথসভা থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যকে নিশানা অধীরের। বীরভূমের রামপুরহাট  ও দুবরাজরপুরেও ডেপুটেশন পেশ কংগ্রেসের।


কৃষক আন্দোলনে উত্তপ্ত রাজধানী। পঞ্জাব থেকে হরিয়ানা...উত্তরপ্রদেশ থেকে মধ্যপ্রদেশ...মোদি সরকারের কৃষক আইনের বিরোধিতায় আন্দোলনে উত্তাল উত্তর-ভারত। এরই মধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছে কংগ্রেস।

সম্প্রতি দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসের। লাগাতার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে। আলু-পেঁয়াজ-আনাজের দামও অগ্নিমূল্য। মধ্যবিত্তের মাথাব্যাথা বাড়ছে বই, কমছে না। এই পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলায় জেলায় কংগ্রেসের মিছিল, পথসভা।

বুধবার বহরমপুরের কান্দি বাসস্ট্যান্ডে কংগ্রেসের পথসভায় অংশ নেন অধীর চৌধুরী। বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি তৃণমূল সরকারেরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী একযোগে বিজেপি-তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘মোদি-মমতা একই পথে চলছে। পেট্রোলের দাম বাড়ছে। গ্যাসের দাম বাড়ছে। মোদির বিরুদ্ধে দিদির বাহাদুরি নেই। পঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিসগঢ় যখন কেন্দ্রের আইনকে নাকোচ করছে, বাজারে বাজারে আগুন লাগতে দিচ্ছে না, তখন বাংলার সরকার মজুতদারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, আইন খারিজ করছে না।’

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।

অন্যদিকে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার সহ একাধিক দাবিতে বীরভূমের দুবরাজপুর ও রামপুরহাটে মিছিল করে কংগ্রেস। দুবরাজপুরে, গলায় আলু-পেঁয়াজের মালা পরে মিছিল করেন মহিলা কংগ্রেস কর্মীরা। এরপর ব্লক অফিসে ডেপুটেশন পেশ করা হয়।

রামপুরহাটে মহকুমাশাসকের দফতরেও স্মারকলিপি পেশ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন হাসনের কংগ্রেস বিধায়ক মিলটন রশিদ।

এর আগে গতকাল কৃষি বিলের বিরোধিতায় অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল হয় ইংরেজবাজারে। ওই মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সাংসদ। এদিন রীতিমতো নাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকাত রানি বলে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

সোমবার মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। যে হার্মাদরা কঙ্কালকাণ্ড, কেশপুর যারা করেছে, আজ তারা বিজেপির বড় রক্ষক। বিজেপি হয়ে গেছে ভক্ষক, সিপিএম রক্ষক, কংগ্রেস তক্ষক, সাপের গায়ে চুমু, বাঙের গায়ে চুমু।

এই বক্তব্যের পাল্টা আক্রমণ করেছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কৃষি আইন বিরোধিতায় এদিন মালদার ইংরেজবাজারে বালুচর থেকে শুরু হয়ে জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত মিছিল করে কংগ্রেস। অংশ নেন অধীর চৌধুরী। সেখানেই তৃণমূলের অন্দরে বিদ্রোহের সুর নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকাত রানি হয়ে গিয়েছেন।