বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও বিধায়ক পদ ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। এই অবস্থায় নিজের বিধানসভা এলাকায় দলের ব্লক কার্যালয় থেকে নিজের অফিস আলাদা করে নিলেন সদ্য প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। কেন অফিস সরিয়ে নিলেন তা তিনিই বলতে পারবেন, সাফাই জেলা নেতৃত্বের। শুভেন্দুর দেহটা তৃণমূলে মনটা অন্যত্র, কটাক্ষ বিজেপি-র।


ছেড়েছেন মন্ত্রিত্ব। কিন্তু বিধায়ক পদ থেকে এখনও ইস্তফা দেননি। শুভেন্দু কি ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যাবেন? এ নিয়ে জল্পনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। সেই সময় তাঁর বিধানসভা এলাকার নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লকের রেয়াপাড়ায় তৃণমূল কার্যালয় থেকে নিজের অফিস আলাদা করে নিলেন তিনি।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে নতুন অফিসের বোর্ডে বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দুর কোনও পরিচয় নেই। ছবি দিয়ে লেখা, ‘শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র।’

কিন্তু কেন দলীয় অফিস থেকে নিজের কার্যালয় সরিয়ে নিলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী? শুভেন্দু অনুগামী এবং নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি শিবশঙ্কর ভারতীর বক্তব্য, ‘শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অনেক মানুষ আসে। আগে যেখানে অফিস ছিল সেটি ছোট হয়ে গিয়েছিল। নতুন অফিসটি অনেক বড়।’

যদিও উল্টো সুর তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি অরুণাভ ভুঁইয়া বলেছেন, ‘পুরনো অফিসে বিধায়কের অফিস থাকলে ভাল হত। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও তিনি এখনও দলেই রয়েছেন। কেন তিনি তাঁর বিধায়কের অফিস সরিয়ে নিলেন তা একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই বলতে পারবেন।’

এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেছেন, ‘শুভেন্দুবাবুর দেহটা তৃণমূলে, মনটা অন্যত্র। উনি সেটা ভালই বুঝতে পেরেছেন। তৃণমূলে কেউ থাকতে পারছেন না। শুভেন্দুর মত যদি আরও কেউ বেরিয়ে আসে তাহলে দলটাই আর থাকবে না।’

২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল নন্দীগ্রাম। আর সেই আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন শুভেন্দু। এক দশক পর আরও একটি বিধানসভা ভোটের মুখে সেই শুভেন্দু কী করবেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দুর নামে পোস্টার দেখা যাচ্ছে। এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকী পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সমর্থনেও পোস্টার। ফ্লেক্স-পোস্টার ছড়াচ্ছে বিজেপি। দাবি তৃণমূলের একাংশের। মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির।