কলকাতা: তিনি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন। তারপর, কংগ্রেসের আর্জি খারিজ করে পিএসির চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করলেন অধ্যক্ষ। এতেই সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ আরও জোরাল হয়েছে। খোদ বিরোধী দলনেতাই এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সরব। তাঁর দাবি, এটা বিরোধীদের অধীকারে হস্তক্ষেপ। নাম না করে মমতা-মানস আঁতাঁতের অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সুজন চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন আব্দুল মান্নান। কিন্তু, সেই আর্জি খারিজ করে মানসের নাম অধ্যক্ষ ঘোষণা করে দেওয়ায় কংগ্রেসের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নয়। দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আব্দুল মান্নান। সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে,মানস ভুঁইয়াকে বলা হবে, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিতে। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের এই পরিষদীয় দলের বৈঠকে কয়েকজন এমনও বলেন, যে মানস ইস্তফা না দিলে তাঁকেই বয়কট করব। এই ঘরেও বসতে দেওয়া হবে না। এ দিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা আব্দুল মান্নান ও উপনেতা নেপাল মাহাতো দু’জনের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁদের বলেছেন, মানস ভুঁইয়াকে বলতে, পিএসির চেয়ারম্যান পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে। কারণ, তৃণমূল সরকার আমাদের মধ্যে ফাটল ধরাতে চেষ্টা করছে। সরকারের এই অভিসন্ধি সফল হতে দেওয়া যাবে না।
এ দিকে বসে নেই সরকার পক্ষও। সূত্রের খবর, মানসকে পিএসির চেয়ারম্যান করার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছেন এই অভিযোগে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে তারা স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে।