দীঘা: হেনরি আইল্যান্ডের পর এবার দিঘা। ফের প্রাণ কাড়ল সমুদ্র। ঢেউয়ের আঘাতে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু কলকাতার বাসিন্দার। প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে ফের উঠছে প্রশ্ন।


পরপর তিনদিন ছুটি! তাই পরিবারকে নিয়ে দিঘায় ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা সুপ্রিয় চক্রবর্তী।

কিন্তু সমুদ্রে মুহূর্তের অসাবধানতা কেড়ে নিল বছর ৩৫-এর ব্যক্তির প্রাণ। বাবা হারাল সাত বছরের ছোট্ট সোহম। স্বামীর মৃত্যুতে জীবনে অন্ধকার নেমে এল স্ত্রী-র।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতেই ওল্ড দিঘায় পৌঁছন সুপ্রিয় ও তাঁর পরিবার। রাত সাড়ে নটা নাগাদ রাতের খাওয়া সেরে সমুদ্রের পারে বসেছিলেন সবাই। সেইসময়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বসে থাকার সময় হঠাৎই সুপ্রিয়র একটি ফোন আসে।  কথা বলতে বলতে অন্যমনস্কভাবে সমুদ্রের দিকে হাঁটতে শুরু করেন তিনি।

সেইসময়ই একটি বড় ঢেউ চলে আসে। টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান সুপ্রিয়। সেইসময়ই তাঁর মাথায় বোল্ডারের আঘাত লাগে।

স্ত্রীর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

পরিবারের লোকেরা বলছেন, ভারী মজার মানুষ ছিলেন সুপ্রিয়!!!

ঘুরতে যাওয়া, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার কথা উঠলেই এক পায়ে খাড়া হয়ে যেতেন তিনি। এহেন মানুষের অকালে চলে যাওয়ায়, বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সকলেই যেন বাকরুদ্ধ।

একইসঙ্গে উঠেছে প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ। কীভাবে অতরাতে সমুদ্রের সৈকতে গেলেন সুপ্রিয়? কোথায় ছিল নজরদারি?

শনিবার হেনরি আইল্যান্ডে, সমুদ্র-স্নানে নেমে, ডুবে মৃত্যু হয় কলকাতার সোমরাজ গুপ্ত ও তাঁর ৭ বছরের মেয়ে এবং পারিবারিক বন্ধুর। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিঘাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আবারও প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের নজরদারি।